বাঁকুড়া , ১৬ নভেম্বর:- এই মূহুর্তে বাঁকুড়ার রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে বিরসা মুন্ডাকে কেন্দ্র করে। যার সূত্রপাত অমিত শাহ যে দিন বাঁকুড়ায় আসেন সে দিন থেকেই। তারপর থেকে বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে টানাপোড়েন কিছুতেই ছাড়ছেনা বিজেপি এবং তৃণমূলের। অমিত শাহ বাঁকুড়ার পুয়াবাগান মোড়ে বিরসা ছবিতে এবং একটি আদিবাসী মূর্তিতে মালা দেন। বিজেপির দাবী, সেটি বিরসা মুন্ডারই মূর্তি, কিন্তু তৃণমূলের দাবী ছিল সেটি বিরসার মূর্তি নয়। সেই থেকেই শুরু দ্বন্দ্ব। কারণ যেদিন বিরসা মুন্ডার মূর্তি ভেবে মাল্যদান করেছিলেন অমিত সাহা ঠিক তার পরের দিনই তৃণমূলের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীরা আদিবাসী কিছু মানুষজনকে নিয়েছে গঙ্গাজল আর দুধ দিয়ে পরিশুদ্ধ করেছিলেন পোয়া বাগানের মোড়ের ওই আদিবাসী মূর্তিকে।
আবার গতকালই বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে সাংসদ সুভাষ সরকারের নেতৃত্বে কিছু আদিবাসী মানুষজনকে নিয়ে গোবর জল ছিটিয়ে শুদ্ধ করেন পালিত হলো বিরসা মুন্ডার জন্মদিন। তারপরও বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ল না বিরসা মুন্ডার। আজ বিরসা মুন্ডার তর্ক বিতর্ক ইতি টানতে বিরসা মুন্ডার পরিবারের সদস্যকে নিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু ও মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ও কয়েকজন বিধায়ক ও বিধায়িকা ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে ওই পোয়া বাগান মোড়ে যান, সারা জীবনের জন্য সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্য বিরসা মুন্ডার আসল মূর্তি তৈরি করা হবে বলে জানান, সেখানে জায়গা চিহ্নিতকরণ করা হয় এবং নারকেল ফাটিয়ে আজকই জায়গা খোঁজার কাজ শুরু করলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে বর্তমান রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা।
আদিবাসী সম্প্রদায় মানুষদেরকে সঙ্গে নিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বললেন আমাদের এই বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক কাজে লাগানো হচ্ছে তা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না। যদি শেষ না হয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব এবং এর শেষ দেখে ছাড়ব। তাই কোন রক্তক্ষরণের রাজনীতি যাতে না হয় তাই রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা জানিয়েছেন যে বিরসা মুন্ডার যে বিতর্ক সেটা ইতি টানতে চাই তাই আজকে আমাদের সমস্ত আদিবাসী ভাই বোনদের নিয়ে এই জায়গা খোঁজার কাজ শুরু।