এই মুহূর্তে খেলাধুলা

আজ দুবাইতে হাইভোল্টেজ ফাইনাল , চারবারের চ্যাম্পিয়নদের থামিয়ে খেতাব জয় লক্ষ্য দিল্লির

স্পোর্টস ডেস্ক , ১০ নভেম্বর:- প্রথমবার আইপিএল ফাইনালে দিল্লি। এবারই তারা প্রথমবার খেতাব জয়ের দিকে পা বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই চারবার আইপিএল খেতাব জিতে ফেলেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই টুর্নামেন্টের তারা পুরনো খেলোয়াড়। জয়ের স্বাদ তারা আগেই পেয়েছে। এই অবস্থায় তারাও যে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দেবে না, সেটা বলাই বাহুল্য। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। তাঁর অধিনায়কত্বেই ইতিপূর্বে চারবার আইপিএল খেতাব জিতেছে মুম্বই। অন্যদিকে চলতি টুর্নামেন্টের শুরুটা দিল্লি ক্যাপিটালস ধামাকাদার করলেও দ্বিতীয় লেগে তারা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে যেনতেন প্রকারেন তারা প্লে-অফের দরজা খুলতে পেরেছে। অবশেষে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিটও কনফার্ম করেছে। খাতায়-কলমে দুই দলই আপাতত সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করছে। তবে যদি ধারাবাহিকতার দিক থেকে বিচার করতে হয়, তাহলে মুম্বই কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে। 

প্রথমে মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানদের কথাই ধরা যাক। কুইন্টন ডি’কক (৪৮৩ রান), ইশান কিষান (৪৮৩ রান) এবং সূর্যকুমার যাদব (৪৬১ রান) দলের টপ অর্ডারের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করছেন। মিডল অর্ডারে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া (২৭৮ রান) এবং কায়রন পোলার্ড (২৫৯ রান)। তাঁরা সেই শক্ত ভিতটাকে খুব সহজেই কাজে লাগাতে পারছেন।  তবে অধিনায়ক রোহিত শর্মা (২৬৪ রান) ব্যাটে সেভাবে রান পাচ্ছেন না। স্টিডস্টার জসপ্রীত বুমরাহ এবং ট্রেন্ট বোল্ট ইতিমধ্যেই মোট ৪৯টা উইকেট নিজেদের পকেটে পুরে নিয়েছে। এতেই বোঝা যায়, দলের পেস অ্যাটাক কতটা মারাত্মক। এই দুজনকে যথাসাধ্য সাপোর্ট দিচ্ছেন পেসার জেমস প্যাটিনসন (১১ উইকেট) এবং লেগস্পিনার রাহুল চহ্বার (১৫ উইকেট)। এছাড়া রয়েছেন পেসার কায়রন পোলার্ড।

মনে করা হচ্ছে অলরাউন্ডার স্টোয়েনিস দিল্লি ক্যাপিটালস দলের ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন। ইতিমধ্যেই এই অজ়ি তারকা ব্যাটে এবং বলে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। দিল্লির ব্যাটিং লাইনআপে বড় ভরসা শিখর ধাওয়ান। তাঁর এখনও পর্যন্ত চলতি আইপিএলে রান ৬০৩। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (৪৫৪ রান)। দিল্লি ক্যাপিটালসের সবথেকে দুশ্চিন্তার বিষয় হল, ঋষভ পান্থ (২৮৭ রান) এবং সিমরন হেটমায়ারের (১৮০ রান) অফ ফর্ম। এই দুজনের মধ্যেই ইনিংস শেষ করার যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। কারণ শেষের দিকে এরা জ্বলে উঠতে পারেন। কিন্তু, দুজনেই আপাতত একেবারে ফর্মে নেই, ফাইনালে তার বিপরীত ছবি দেখা যায় কী না, সেটাই আপাতত দেখতে হবে।

এখনও পর্যন্ত যে’কটা আইপিএল মরশুম খেলা হয়েছে, তারমধ্যে এবছরই ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ের থেকে টস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। কারণ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে রাতের দিকে কতটা পরিমাণ শিশির পড়বে, তা আগে থেকে বুঝতে পারা বেশ কঠিন। কারণ এমনও অনেক ম্যাচ হয়েছে, যেখানে টসে জিতলেও ফিল্ডিং নিয়ে বেশ কয়েকটি দলকে ভুগতে হয়েছে। ফাইনাল ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠক করতে এসে রোহিত শর্মা জানালেন, আগামীকাল টস অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। কিন্তু, টসের উপর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল একেবারেই নির্ভর করবে না।

সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত বললেন, “দেখুন, একথা মানছি যে টসে জেতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, এই টস আমাদের দলের ক্ষেত্রে কোনও পার্থক্য গড়তে পারবে না। আমরা এটাকে ভবিতব্য মেনেই সামনের দিকে এগোতে চাই। আমরা যদি ভালো ব্যাট এবং বল করতে পারি, তাহলে আশা করছি আগামীকাল অবশ্যই এই ম্যাচ জিততে পারব।” রোহিত ইঙ্গিত দেন আগামীকালের ম্যাচে অফস্পিনার জয়ন্ত যাদবকে খেলানো হতে পারে। কারণ বিপক্ষ দলে বেশ কয়েকজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রয়েছেন। সেক্ষেত্রে জয়ন্ত যাদব একজন ভালো বিকল্প হতে পারেন। গত ৩১ অক্টোবর লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে এই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেই ভালো বল করেছিলেন জয়ন্ত।