এই মুহূর্তে জেলা

বাঁকুড়ায় আমার গোছানো সংগঠনের ভয়ে দিল্লি থেকে অমিত শাহ কে ছুটে আসতে হলো সামাল দিতে – কল্যাণ।

সুদীপ দাস , ৫ নভেম্বর:- নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে নরেন্দ্র মোদির জুতো রেখে গুদির তলায় ভরতের মতো কেউ বসে পশ্চিমবঙ্গ চালাবে নাকি? চুঁচুড়া জনসভায় কটাক্ষ শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হুগলি জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার পরই রাজ্য নেতৃত্ব কলকাতায় তড়িঘড়ি মিটিং ডেকে কোর কমিটি গঠন করে দেয়। সেই কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ হুগলি জেলার সদর শহর চুঁচুড়ার প্রাণকেন্দ্র ঘড়ির মোড়ে অনুষ্ঠিত হলো তৃণমূলের জনসভা।

এদিনের এই জনসভায় করোনাকে উপেক্ষা করে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের এই জনসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব, রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, হুগলি জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র তথা চন্ডীতলার বিধায়ক স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পদ্দার, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল সহ চুঁচুড়া বিধানসভার গুলি বুথের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।

এদিনের এই মঞ্চ থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমি বাঁকুড়া এমনভাবে সংগঠন গুছিয়েছি তার ভয়ে দিল্লি থেকে অমিত শাহকে ছুটে আসতে হল সামাল দিতে। এদিন তিনি অমিত শাহ এর পাশাপাশি রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার কেও একহাত নেন। রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে বলেন উনি টুইটার কোহলিক। সকাল-বিকেল টুইট করা এবং সাংবাদিকদের ডেকে সাংবাদিক সম্মেলন করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। তিনি এদিনের এই মঞ্চ থেকে রাজ্যপাল কে সামনাসামনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানালেন।