এই মুহূর্তে জেলা

বিষ্ণু মাল খুনের ঘটনার পুনর্নিমান করলো পুলিশ , মূল অভিযুক্ত বিশাল এখনও অধরা।

হুগলি , ২৮ অক্টোবর:- চুঁচুড়ার রায়বেড়ের বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক বিষ্ণু মাল খুনের ঘটনার পুনর্নিমান করলো চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। তার আগে বুধবার বিষ্ণুর বাড়িতে যান পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তথাগত বসুরা। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দুষ্কৃতী বিশাল দাস কে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন কমিশনার হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ত্রিকোণ প্রেমের কারণেই বিশাল বিষ্ণুকে খুন করেছে।

নিজের প্রেমিকার সঙ্গে অন্য কারো সম্পর্ক মেনে নিতে পাড়েনি বলেই বৈদ্যবাটিতে বিষ্ণুকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে। বিষ্ণুই যে বিশালের প্রেমিকার বর্তমান প্রেমিক সেটা নিশ্চিত করতেই বিশাল বিষ্ণুর ফোন থেকেই মেয়েটিকে ফোন করায়। মেয়েটি ফোনে বিষ্ণুর সঙ্গে কথা বলার পরেই বিশাল বিষ্ণুকে বৈদ্যবাটি রেল গেটের কাছে একটি বাড়িতে নিয়ে খুন করে। বিষ্ণুর দেহের খন্ডিত অংশ পেলেও ধর মুন্ডু এখনো না মেলায় খুনের পদ্ধতি অধরা পুলিশের কাছে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার বৈদ্যবাটি খাল পাড় এলাকা ঘুরে দেখলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির সহ অনন্য পুলিশ আধিকারিকরা। এদিন পুলিশ কমিশনার জানান এই নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে, বাকি মূল অভিযুক্ত দ্রুত গ্রেফতার হবে। বৈদ্যবাটির যে বাড়িতে বিষ্ণুকে মারা হয়েছিল সেখানেই প্ৰথমে ধৃত দুই দুস্কৃতিকে নিয়ে পুনঃনির্মাণ করানো হয়, পরে বৈদ্যবাটি খালে যেখানে দেহের খন্ড- বিখন্ড উদ্ধার হয় সেখানেও পুনঃনির্মাণ করানো হয়।