বাঁকুড়া , ২৮ অক্টোবর:- উমা বিসর্জনের দিনেই রাবণ কাটা উৎসবে মাতেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরবাসী। দশমী থেকে তিনদিন বাংলার প্রাচীন জনপদে পাড়ায় পাড়ায় চলে জাম্বুবান সুগ্রীব বিভীষণ হনুমানদের নৃত্য। দ্বাদশীর গভীর রাতে রঘুনাথজির মন্দিরে রাবণ বধের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শতাব্দী প্রাচীন এই উৎসব। কিন্তু এ বছর ছবিটা অন্যরকম এবছর হচ্ছে না পারায় পারায় নৃত্য। শুধুমাত্র রঘুনাথপুর মন্দিরে রাবণ বধ হবে। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ বিষ্ণুপুর শহরবাসীর। নোবেল করোনাভাইরাসের জন্য প্রশাসন এই উৎসবে এবছর অনুমতি দেয়নি। তবে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে নৃত্য ও রাবণ বধের মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন বিষ্ণুপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক শ্যাম মুখার্জী। যদিও এখনো প্রশাসনের তরফে কোন অনুমতি পাওয়া যায়নি। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা লিখিতভাবে প্রশাসনিক অনুমতি না পেলে রাবণ বধ অনুষ্ঠান করবেন বলেই জানা যাচ্ছে।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জয়দেব দত্ত বলেন, আমরা লিখিত কোনো অনুমতি না পেলে এবছর পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে রাবণ বধের নৃত্য করতে পারবো না। পৌরসভার পৌর প্রশাসক লিখিতভাবে অনুমতি দিলে তবে আগামী কাল থেকে অনুষ্ঠান শুরু করব। তবে বিষ্ণুপুর পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক শ্যাম মুখার্জী জানান, আমি বিষ্ণুপুর থানায় আবেদন জানিয়েছি যাতে করে বিষ্ণুপুরের এই প্রাচীন ঐতিহ্য বজায় থাকে তিনি বলেন আজ এবং কাল অনুষ্ঠান হবে। শেষমেষ আদৌ বিষ্ণুপুরের প্রাচীন ঐতিহ্য দেশবাসী দেখতে পাবেন কিনা তা এখন বিশবাঁও জলে।