এই মুহূর্তে জেলা

প্রতিমা ভাসানের পরেই জল থেকে কাঠামো তোলার কাজ করছে হাওড়া পুরসভা।

হাওড়া , ২৭ অক্টোবর:- সোমবার বিজয়া দশমী থেকেই প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হয়েছে হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে। কোভিড পরিস্থিতিতে এই বছর গঙ্গার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জলাশয় চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে প্রতিমা বিসর্জন হবে। ওইসব জলাশয়ের কাছাকাছি অস্থায়ীভাবে কাঠের ভ্যাট তৈরি করা হয়েছে। জলাশয় থেকে প্রতিমার কাঠামো ভ্যাটে ফেলা হবে। সেখান থেকে পরে সেই কাঠামো অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়াও গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন হচ্ছে। বিসর্জনকে কেন্দ্র করে পুরনিগম একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গঙ্গায় ফেলা ছোট কাঠামোগুলি দ্রুত তোলার জন্য বিশেষজ্ঞ এজেন্সিকে এবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর সঙ্গে বড় কাঠামো জল থেকে তোলার জন্য হাইড্রা মেশিনের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। জলে কাঠামো যাতে বেশি দুরে ভেসে না যায় তার জন্য গঙ্গায় জালের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ঘাটের থেকে আবর্জনা তোলার জন্য ই-রিক্সার ব্যবস্থা করা করা হয়েছে যার মাধ্যমে বিসর্জনের পর হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে এবং পুকুর পাড়ে পড়ে থাকা আবর্জনা সংগ্রহ করে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

হাওড়া পুরনিগমের দাবি ইতিমধ্যেই প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রতিমার কাঠামো জল থেকে তোলা সম্ভব হয়েছে। আজও কাঠামো তোলার কাজ চলছে। পুরকর্মীদের এই কাজে লাগানো হয়েছে। বিসর্জনের জন্য একটি বেসরকারী সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছে। পুরসভা চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জলে পড়ে থাকা বর্জ্য তুলে ফেলা। ভাসানের জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে যে নির্ধারিত দিন ধার্য্য করা হয়েছে এই সময়ের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গঙ্গা থেকে কাঠামো তোলার কাজ চলছে।