এই মুহূর্তে জেলা

ফুলবাড়ি থেকে ‘পথশ্রী অভিযান’ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

শিলিগুড়ি , ১ অক্টোবর:- বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ি থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ‘পথশ্রী অভিযান’ এর উদ্বোধন করলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একসঙ্গে রাজ্য জুড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা পুনর্নির্মাণ ও রক্ষণাবক্ষেণ করে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই গ্রামের বিভিন্ন ভাঙা রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে। পথশ্রী অভিযানের উদ্বোধনের পর তা সারিয়ে গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্রামীণ ভাঙা রাস্তার কাজ সারিয়ে চলাচলের উপযুক্ত করারা নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে আগামীকাল গান্ধীরজীর ১৫১ তম জন্মদিন। সেই মহত্মা গান্ধীরজীর জন্মদিনকে সামনে রেখে তার পদতলে সমর্পণ করবো এই কাজ। তাই আমরা মহত্মা গান্ধীরজীর জন্মদিন ২৪ ঘন্টা আগে থেকেই এই ১২ হাজার কিলোমিটার পথ করবার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনারা জানেন যে একদিকে কোভিড চলছে। গত ছয় থেকে আট মাস কোন কাজই হতে পারছে না কোভিডের জন্য। তা সত্বেও এর মধ্যেও কাজ করা হচ্ছে। সড়ক পথ এগোলে তবেই কিন্তু সভ্যতা এগোয়। রাস্তা চালু থাকলে তবেই কিন্তু প্রগতি হয়।

আর প্রগতি থাকলেই তিনি উন্নয়ন হয়। এবং পথই কিন্তু আমাদের দিশা। আর আমরা চাই সব গ্রামই সব গ্রামের সঙ্গে বড় রাস্তার যোগাযোগ হোক। আর আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি বাংলা কিন্তু রাস্তা সড়ক নির্মাণে এক নম্বরে। রাস্তা যত নির্মাণ করেছি দূরত্বে কিন্তু বাংলা এক নম্বরে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে আগে এক সময় আমি শিলিগুড়ি আসতাম আর এখন যখন আমি আসি শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িকে দেখে চেনাই যায় না। উত্তরকন্যা,বেঙ্গল সাফারি,ভোরের আলো তৈরি হয়েছে। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ তৈরি হয়েছে। নতুন জেলা আলিপুরদুয়ার,কালিংপঙ তৈরি হয়েছে। এবং আমি গত পরশুদিন শিলিগুড়িতে এলাম তখন দেখতে পেলাম অনেকে মাস্ক পড়ছে না। তাই দয়া করে মাস্ক পড়ুন। নিজেকে বাঁচান অপরকে বাচান। অপর দিকে তিনি বলেন যে কোন বড় ট্রাক যেন গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে না যায়। এরাই কিন্তু গ্রামের রাস্তাগুলোকে ভেঙে দেয়।

এবং অনেকেই আছেন যারা রাত্রি বেলা ঢুকতে দেয়। এইটা করা যাবে না। আমরা ফ্রিতে রেশনের ব্যবস্থা করে দিয়ছি। বাংলা ছাড়া আর কোন রাজ্য করেনি। জুন মাস পর্যন্ত এই ফ্রি রেশনের ব্যবস্থা করেছি। এবং আগামীতে আরও করা হবে। আর ফ্রিতে চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে। এবং ৫ লক্ষ টাকা করে সারে সাত কোটি পরিবারকে আমরা স্বাস্থ্যসাথী স্কিমে নিয়ে এসেছি। যাদের কাছে স্মাট কার্ড কাছে তারা পরিবারের জন্য দেড় লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবে। এবং যদি কোন বেশি খারাপ অসুখ হয় তাহলে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন এইটা আমরা করে দিয়েছি। আর কেন্দ্র সরকার যা বলে সব মিথ্যা। দেড় কোটি লোক পাবে এবং আমরা সাড়ে সাত কোটি লোককে করে দিয়েছি। দুঃখের বিষয় কিছু লোক বলে একটা আর করে একটা। দেখো দলিতে উপর কত অত্যাচার করছে। আজকে দলিত লোক কান্না করছে।

নির্বাচনের সময়ে দলিতদের বাড়িতে গিয়ে বলে বাইরে থেকে খাবার বানিয়ে নিয়ে বলে আমরা দলিতের বাড়ি খাবার খাচ্ছি। এরপর দলিতের উপর মারছে। আজকে উত্তরপ্রদেশে দেখ ধর্ষণ খালি নয় ধর্ষণ করার পর কিভাবে জ্বালিয়ে দিল। যদি কোন ক্রাইম হয় তাহলে পুলিশের তদন্ত করা দরকার। আমি ৭২ ঘন্টার মধ্যে কারবাহি করেছি। জালিয়ে দিল এইটা কোন শাসন। এর আগে এক নেতা বলল যে মা ও মেয়েকে জালিয়ে দাও। কখনও মাইনোরেটির উপর আবার কখনও দলিতের উপর এবং এখনও আদিবাসীদের উপর অত্যাচার হয়। কখনও ভাববেন যে জেনারেল উপর অত্যাচার হয় না। রাজবংশিদের যা কথা দিয়ে ছিল কিছু করেনি। অনেক কথা দেয় উত্তরবঙ্গের জন্য সব চা বাগান খুলে দিবে। কিন্তু তিন বছর হয়ে গেল খুলেনি। খালি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় কোন কাজ করে না।