এই মুহূর্তে কলকাতা

রেল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে উৎসবের মরসুমে পাহাড়ে টয়ট্রেন চালু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা

কলকাতা , ২৮ সেপ্টেম্বর:- রেল ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে উৎসবের মরসুমে পাহাড়ে টয়ট্রেন চালু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে । পর্যটক এবং স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা আশায় বুক বাঁধলেও পুজোর আগে আদৌও পাহাড়ে টয়ট্রেন শুরু হবে কি না, রেলের তরফে তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। , স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি মিললেই পাহাড়ে টয়ট্রেনের পরিষেবা শুরু হবে বলে দিলে তরফ থেকে জানানো হয়েছে। অপরদিকে দার্জিলিংয়ের জেলা শাসকের বক্তব্য, রেলকে অনুমতি দেওয়া না দেওয়ার ব্যাপার পুরোটাই নবান্নের ওপর নির্ভরশীল। ফলে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রেল ও রাজ্যের এই খামখেয়ালিপনায় মুখভার পর্যটন ব্যবসাযী থেকে শুরু করে টয়ট্রেনের সঙ্গে জীবিকা যুক্ত থাকা পাহাড়বাসীর। টয়ট্রেন না থাকায় দার্জিলিংয়ে এসে মন খারাপ করে ফিরতে হচ্ছে পর্যটকদেরও। পাহাড়ে এসে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ইঞ্জিনের সঙ্গে ছবি তুলেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, স্থানীয় এবং রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি মিললেই টয়ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে। দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক এস পন্নমবলম বলেন, টয়ট্রেন চালানো স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এটা পুরোপুরি নবান্ন থেকে হবে।

করোনা পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে পাহাড়। পাহাড়ের পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয়েছে টয়ট্রেন। কিন্তু ধাপে ধাপে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হতেই পাহাড় খুলে দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে পর্যটকরাও পাহাড়ে আসতে শুরু করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পাহাড়ে টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করতে পারেনি রেল। কিছুদিন আগেই একটি বৈঠকে পর্যটন ব্যবসাযীরা পাহাড়ে টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য পর্যটনমন্ত্রীর কাছেও অনুরোধ জানান। সেই বৈঠকে পর্যটন ব্যবসাযীদের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু টয়ট্রেন কেন্দ্রের হাতে থাকায় কী করে তা চালানো হবে, সেটা রেলকেই দেখতে হবে বলে ব্যবসায়ীদের জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য এবং রেলকে উদ্যোগী হয়ে টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করার আবেদন জানিয়েছে পর্যটন ব্যবসাযীদের সংগঠনগুলি। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, পাহাড়ে পর্যটনের ব্র‌্যান্ডিং করতে হলে টয়ট্রেনের কথা একবার বলতেই হয়। তাই রেল ও রাজ্যকে উদ্যোগী হয়ে টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করতে হবে। ডিএইচআর ইন্ডিয়া সাপোর্ট গ্রুপের সেক্রেটারি জেনারেল রাজ বসু বলেন, আমরা মন্ত্রীর কাছে জানিয়েছিলাম। সেইসময় তিনিও সম্মতি দিয়েছিলেন যে, টয়ট্রেন চালু করা উচিত। কিন্তু যেহেতু রেলের হাতে টয়ট্রেন, তাই রেলকেও বিষয়টি দেখতে হবে। উত্তরবঙ্গে পর্যটনের কথা বলতে হলে টয়ট্রেনের কথা আগে বলতে হবে। তাই দ্রুত টয়ট্রেন চালু করা উচিত।