এই মুহূর্তে জেলা

মঙ্গলে নয় , হাওড়ার মঙ্গলাহাট বসবে শুধু শনিতেই।

হাওড়া , ১১ সেপ্টেম্বর:- মঙ্গলে নয়, হাওড়ার মঙ্গলাহাট এখন থেকে বসবে শুধু শনিবারেই। কোভিড পরিস্থিতিতে আপাতত এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার কাজের দিনে হাট বসলে সেখানে ভিড়ের কারণে সোস্যাল ডিসট্যান্সিং থেকে শুরু করে কোভিড সতর্কতা মেনে চলা সম্ভব হবেনা। সে কারণেই সপ্তাহান্তে শনিবার ‘ছুটি’র দিনকে ( বেশিরভাগ অফিস ছুটি থাকে ) আপাতত বাছা হয়েছে। পুজোর আগে হাট খুলতে ব্যবসায়ীরাও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই কারণেই আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বসবে হাওড়ার মঙ্গলাহাট। কোভিড পরিস্থিতিতে দিন বদল করে আপাতত শর্তসাপেক্ষেই মঙ্গলাহাট খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।

প্রায় ৬ মাস পর আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বসবে এই হাট। গত ২৪ মার্চ থেকে করোনা আবহে প্রশাসনের নির্দেশে  বন্ধ ছিল মঙ্গলাহাট। হাট চালু হওয়ার পর দু’সপ্তাহ দেখা হবে যে কোভিড রীতি মেনে হাটে ব্যবসা হচ্ছে কিনা। একই সঙ্গে হাট চালু হওয়ার জন্য কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে কি না। যদি তা হয় তাহলে হাট ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শনিবার রাত ৯টা থেকে খুলবে মঙ্গলাহাট। চলবে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। শুধুমাত্র স্থায়ী দোকানগুলিই চালু থাকবে। হাওড়া ময়দান চত্বর জুড়ে রাস্তার ফুটপাতে বসা খুচরো বিক্রেতা এবং স্টলগুলিকে আপাতত বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে সূত্রের খবর।

শনিবার রাতের মঙ্গলাহাটে কীরকম জনসমাগম হচ্ছে, করোনার স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা হচ্ছে সেসব দেখার পর ধাপে ধাপে হাটের পুরানো চেহারা ফিরিয়ে আনা হবে।পাশাপাশি সোম ও মঙ্গল দু’দিন নয়, এবার মঙ্গলাহাট বসবে সপ্তাহে একদিন শনিবার। শুধু শনিবার রাতেই চালু থাকবে মঙ্গলাহাট। মূলত পাইকারি কেনাবেচা হবে। হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানান, হাওড়া ময়দানে যেখানে হাট বসে সেই চত্বরেই হাওড়া জেলা হাসপাতাল সহ সব প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। এখানে নানা কাজে নিত্যদিন প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। তাই কোনওভাবেই যাতে ওই এলাকায় সংক্রমণ না ছড়ায় তা বিচার করেই রাতে হাট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যদিও প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার পর হাট কীভাবে চালু করা সম্ভব, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। শনিবার রাতে পাইকারি কেনাবেচার জন্য কম মানুষই আসবেন এবং ওই দিনে কলকাতার একটি পাইকারি বস্ত্রহাট খোলা থাকে বলে ক্রেতার সংখ্যা আরও কমবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।উল্লেখ্য, হাওড়ার মঙ্গলাহাটে মোট প্রায় ১১টি বড় বিল্ডিং রয়েছে, যেখান থেকে পাইকারি হারে নানা বস্ত্র বিক্রি করা হয়। সেগুলি খোলা থাকবে।