হাওড়া , ২ জুলাই:- এমনিতেই এ রাজ্যের সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত এলাকা গুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে হাওড়া । সংক্রমণ রোধ করা যেখানে প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ । সেখানেই শেষ চার দিনে হাওড়ায় সংক্রমিত আট শতাধিক এর বেশী মানুষ। আর মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের । এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দিন গিয়েছে জুলাইয়ের 30 তারিখ । সেই এক দিনেই সংক্রমিত ২৬০ । যা এখনো পর্যন্ত একদিনে হাওড়ায় সর্বাধিক সংক্রমিত । ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদৌও হাওড়ায় কি সংক্রমণ রোধ সম্ভব ? এক্ষেত্রে যে প্রশাসনিক ও পুলিশি কড়াকড়ির এবং নজরদারি প্রয়োজন তা কি আদৌও রয়েছে ? বাস্তব চিত্র বলছে সংক্রমিতের সংখ্যা যতই বাড়ুক না কেন শুধুমাত্র হাওড়া শহরের একাধিক কন্টেনমেন্ট জোনে প্রশাসন হেলদোলহীন । কন্টেনমেন্ট জোন গুলি যেন ‘ফস্কা গেরো’ র জ্বলন্ত উদাহরণ । সরকারি তালিকা অনুযায়ী কন্টেনমেন্ট জোন শিতানাথ বোস যেন , মাধব ঘোষ লেন , উপেন্দ্রনাথ মিত্র লেন । অথচ সবকটিতেই চোখে পড়ল ব্যাপক প্রশাসনিক নজরদারির অভাব ।
যেখানে হাওড়ার মত অতি সংক্রমিত একটি জেলার কন্টাইন্মেন্ট জোন গুলিতে নজরদারি থাকা উচিত সেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নজরদারি তো নেই । পাশাপাশি একাধিক জায়গায় ব্যারিকেড রয়েছে নাম মাত্র । পাশে থাকা ফাঁক ফোকর দিয়েই অবাধ যাতায়াত সাইকেল থেকে বাইক সবকিছুরই । সেই সঙ্গে হেঁটেচলে যাতায়াত তো রয়েছেই । শেষ নয় এখানেই , মাধব ঘোষ লেনের ছবিটা আরও মারাত্মক । এখানে ইচ্ছাখুশী মত ব্যারিকেট নিজেরাই সরিয়ে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ থেকে বাইক আরোহী । নিরাপত্তার দ্বায়ীত্বে নেই পুলিয়াহকর্মীরাও । এমনকি খোদ জেলার প্রশাসনিক ভবনগুলি তথা জেলাশাসকের বাঙলোর সামনের রাস্তা অর্থাৎ ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র রোডের অবস্থাও তথৈবচ । নেই কোনও পুলিশ কর্মী , সিভিক ভলান্টিয়ার । ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র রোড ও মহাত্মা গান্ধি রোডের সংযোগস্থলের গোটা রাস্তাজুড়ে ব্যারিকেডের থাকলেও একাংশ খোলা । নজরদারির অভাবে অবাধ যাতায়াত চলছেই । ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে , কন্টেনমেন্ট জোন কি তবে নামেই ? আদৌও সম্ভব এভাবে সংক্রমণ ঠেকানো ?