তরুণ মুখোপাধ্যায় , ২১ জুলাই:- করোনার আবহে এবছর একুশের শহীদ দিবস একটু অন্যরকম ভাবে পালিত হল। ধর্মতলার সেই জনজোয়ারের চেনা ছবিটা চোখে না পড়লেও এই দিনটির তাৎপর্য এবং মহত্ব অপরিসীম সেটা বুঝিয়ে দিল তৃণমূল কর্মীর। এদিন ভোর থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান জুড়ে তৃণমূল কর্মীরা পতাকা উত্তোলন রক্তদান বৃক্ষরোপণ এর মাধ্যমে শহীদ স্মরণ পালন করেন। আরামবাগ থেকে উত্তরপাড়া গুপ্তিপাড়া থেকে ডানকুনি সর্বত্র একই ছবি। প্রতিটি পাড়ায় প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিটি গ্রাম এলাকায় শহীদদের স্মৃতিতে স্থাপন করা হয় শহীদ বেদী ।তৃণমূল কর্মীরা পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ বেদীতে মাল্য দানের মধ্য দিয়ে শুরু করে এ দিনের শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান। ডানকুনি তে স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং বিদায়ী ডানকুনি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মুখার্জীর উদ্যোগে পালন করা হয শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান এখানে তৃণমূল কর্মীরা এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনার বন্দোবস্ত করেন।
বহু মানুষ এদিনের শেওরাফুলি ফাঁড়ির ধারে জি টি রোড এর উপর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৈদ্যবাটি পৌরসভার দুই বিদায়ী কাউন্সিলর সুবীর ঘোষ এবং পিন্টু মাহাতো। শ্রীরামপুরের 27 নম্বর ওয়ার্ডের এই দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয় শ্রীরামপুর পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর পিন্টুর উদ্যোগে শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ বেদীতে মালা দেওয়া হয়।
এছাড়াও মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিঙ্গুরে বৃক্ষরোপনের মধ্য দিয়ে পালন করেন জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী ডাক্তার করবি মান্নার উদ্যোগে 13 জন শহীদের নামে 13 টি গাছ রোপন করা হয় । অনুষ্ঠানে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতন ছিল। হুগলির দেবানন্দপুরে বৃক্ষরোপনের মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করা হয় ।এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন চুঁচুড়া বিধানসভার বিধায়ক অসিত মজুমদার ছাড়াও দুপুর থেকেই তৃণমূল কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনান বন্দোবস্ত করে।রিষরা পুর এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ দিবস পালন করা হয় এবং দুপুরের পর থেকে এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে তৃণমূল কর্মীরা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনেন। এখানে উপস্থিত ছিলেন রিষরা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিজয় সাগর মিস্র মনোজ গোস্বামী শুভজিৎ সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং অবনতি তৃণমূল কর্মী