এই মুহূর্তে জেলা

শহীদ দিবসেই শহীদ চুঁচুড়ার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান।


সুদীপ দাস , ২১ জুলাই:- নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ার জের প্রশাসনিক বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন উপ-পৌরপ্রধান অমিত রায়কে। সম্প্রতি এই পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বাধ্য হয়ে ময়দানে নামতে হয় শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে অবিলম্বে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের আবেদন জানান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। ইতিমধ্যে কল্যান ব্যানার্জীর পক্ষ নিয়ে নিয়োগ বাতিলের দাবীতে সরব হওয়া অস্থায়ী কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়ান প্রাক্তন পুরপ্রধান অমিত রায়। কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামত তড়িঘড়ি গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দেন পুরমন্ত্রী। এরপরই গেটের সামনে অস্থায়ী কর্মীদের সাথে আবীর খেলায় মাতেন অমিতবাবু। ঘটনার দিন পনেরোর মধ্যেই বর্তমান পুর-প্রশাসক বোর্ডের সদস্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো অমিত রায়কে। যা নিয়ে যারপরনাই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। পুর-প্রশাসক বোর্ডের চেয়ার পার্সন গৌরিকান্ত মুখার্জী বলেন সরকারীভাবে পুর দপ্তর থেকে পাওয়া চিঠি পেয়েছি।

যেখানে বলা হয়েছে প্রশাসক বোর্ড থেকে অমিত বাবুকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। এটা সরকারী ব্যাপার এরবেশী কিছু আমি বলতে পারবো না। এবিষয়ে পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিআইএম-এর সমীর মজুমদার বলেন সরকারীভাবে আমাদের কাছে চিঠি আসেনি। তবে এটা বলতে পারি যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ায় দলীয় ক্ষোভের বলি হলেন অমিতবাবু। এবিষয়ে অমিত রায় বলেন আমি দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততায় বিশ্বাসী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দিদিকে অগোচরে রেখেই আমাকে সরানো হয়েছে। ন্যায়কে আগলে রাখতে গিয়ে আমার গায়ে অন্যায়ের কোপ পড়লো। আগামিকাল থেকে পুরসভায় আমাকে কেউ দেখতে না পেলেও আমি ন্যায়ের সাথে থেকেই তৃণমূল করে যাবো। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি এটুকু বলতে পারি যে ২১ শে ফেব্রুয়ারির শহীদ দিবসে আমি শহিদ হলাম। এরপরই চোখ ছলছল অবস্থাতেই মুখে কষ্টের হাসি নিয়ে বিগত ১০ বছরের চেয়ার ছাড়লেন অমিতবাবু। পুরসভার কর্মীদের সাথে শেষ দেখা করে প্রতিদিনকার মত এক অনুরাগীর বাইকের পিছনে চেপে পুরসভা ছেড়ে বেড়িয়ে যান অমিত রায়।