এই মুহূর্তে জেলা

পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরলেও বন্ধ রোজগার , চিন্তার ভাঁজ কপালে।

চিরঞ্জিত ঘোষ , ১৪ জুলাই:- লকডাউনের জেরে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফিরেছে বাড়ি। নেই কোনো রোজগার। ফুরিয়ে আসছে সঞ্চিত অল্প পুঁজি। চিন্তার ভাঁজ কপালে। সামনের দিনে কী করে চলবে সংসার। সেই চিন্তা গ্রাস করেছে পরিবারের সকলকে। সামান্য কাজ চেয়ে সকলের দরজায় গিয়েও প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। ডানকুনি পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের আঁকডাঙ্গা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর মন্ডল। মাধ্যমিক পাশের পর জুয়েলারির কাজ শিখে গত চার বছর ধরে ভীন রাজ্য রাজস্থানের ফতেপুরে কাজ করতো। মাসে গড় আয় ছিল ১৮০০০/- টাকা। তার আয়ের টাকায় বাবা, মা ও স্ত্রীর মুখে দুমুখো অন্ন উঠতো। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি তে ঈদের দুদিন পর পরিষায়ী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফিরেছে বাড়ি।

একটু কাজের আশায় ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর কে বলেও কোন সদুত্তর পায়নি। স্ত্রী সাবিনা খাতুন আলিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আরবি নিয়ে M.A পাশে করেছে। এই বছর বি.এড পড়াশোনা করার কথা ছিল। কিন্তু স্বামীর রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ স্বপ্নের উচ্চ শিক্ষার পাঠ। স্বামীর এই দু:সময়ে সাবিনা কাজের আশায় রয়েছে। কিন্তু নেই কোনো কাজ। তাই চোখে মুখে আতঙ্ক গ্রাস করেছে পরিষায়ী শ্রমিক আলমগীর মন্ডল এর। ডানকুনি পৌরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখ্যার্জী বলেন, গ্রামীণ পঞ্চায়েত এলাকায় পরিষায়ী শ্রমিকদের জন্য 100 দিনের কাজের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে পৌরসভা এলাকায় তেমন কাজের সুযোগ নেই। তা সত্বেও পৌরসভার আর্থিক অসঙ্গতি থাকা সত্বেও স্বাস্হ্য দফতরের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কিছু কিছু পরিষায়ী শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি সার্ভে করার কাজে নিষুক্ত করা হচ্ছে।