এই মুহূর্তে জেলা

গবাদি পশুর শরীরেও ভাইরাস ঘটিত রোগ মাথাভাঙায়, উদ্বেগ।


কোচবিহার, ৪ জুলাই:- করোনা ভাইরাসের জেরেই দিশেহারা মানুষ। এবার আবার গবাদিপশুর শরীরে ভাইরাস ঘটিত রোগ দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে কৃষিজীবী মানুষের মধ্যে। ওই গবাদি পশুর ভাইরাস ঘটিত রোগ দেখা দিয়েছে মাথাভাঙার বেশ কিছু গ্রামে। আর করোনার মত গবাদিপশুর শরীরে দেখা দেওয়া ভাইরাসের ছোঁয়াচে বলে মাথাভাঙার পশু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এতে উদ্বেগ আরও ব্যাপক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। মাথাভাঙ্গা ব্লক প্রানী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক রামকৃষ্ণ ঘোষ জানান, গবাদি পশুর শরীরে দেখা দেওয়া ভাইরাসের নাম ‘লম্পি স্কিন ডিজিস’। এই সময় গবাদি পশুর শরীরে এই রোগ দেখা দিয়ে থাকে। এই রোগের লক্ষণ গরুর গলা ও পা ফুলা যাবে, শরীরে চাকা চাকা দাগ দেখা দেবে, জ্বর হবে, খাওয়া দাওয়া ধীরে ধীরে ছেড়ে দেবে। কোন একটি গরুর হলে সাথে সাথে তাকে অন্য গরু থেকে আলাদা করে রাখতে হবে নতুবা ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুরুতেই চিকিৎসা শুরু করতে পারলে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়। নতুবা দেরী হলেই সমস্যা হতে পারে বলে রামকৃষ্ণ বাবু জানিয়েছেন।

মাথাভাঙার বাইশগুড়ির বাসিন্দা যতীন দাস বলেন, “আমার গরুর এই লক্ষণ দেখা দিয়েছে পাঁচ দিন থেকে গরু কে নিয়ে ভুগছি। আমরা কৃষিজীবী মানুষ। গরু দিয়ে চাষ করি। আবার দুধ হলে বিক্রি করে কিছু পয়সা উপার্জন করি। এই অবস্থায় এই রোগে যদি গরুর কিছু একটা হয়ে যায়, তাহলে আমাদের পথে বসতে হবে।” মাথাভাঙ্গার আরেক বাসিন্দা মনি দাস বলেন, “আমার গাই গরু ও বাছুরের ওই অসুখ দেখা দিয়েছে। আমাদের মত এলাকার বহু মানুষের গবাদি পশুর রোগ দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সরকারি প্রানী চিকিৎসা কেন্দ্রে জানানো হয়েছে। তারা খোঁজ খবর নিচ্ছেন। দেখি শেষ অব্দি কি হয়।” মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষা কল্যাণী রায় বলেন, “গবাদিপশুর অসুখ নিয়ে এলাকার কৃষিজীবী মানুষরা উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। বিষয়টি ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ উন্নয়ন আধিকারিক রামকৃষ্ণ ঘোষকে জানিয়েছে। উনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।”