হাওড়া , ৩ জুলাই:- জুন মাসের গোড়া থেকেই শুরু হয়েছিল আনলক-১। আনলক-২ চলছে এখন। করোনা পরিস্থিতিতে জনজীবনে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে দিতে ধীরে ধীরে শপিং মল সহ অনেক কিছুই চালু হলেও এখনো চালু হয়নি হাওড়ার শতাব্দী প্রাচীন মঙ্গলাহাট। হাওড়ার অঙ্কুরহাটি বা কলকাতার মেটিয়াবুরুজের হাটগুলি খুলে দেওয়া হলেও মঙ্গলাহাট খোলার কোনও প্রশাসনিক অনুমোদন এখনও মেলেনি। অবিলম্বে এই হাট খোলার দাবিতে এবার মঙ্গলাহাট চত্বরেই পড়েছে পোস্টার। হাওড়া হাটের ব্যবসায়ীবৃন্দের তরফ থেকে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের সময় থেকেই লাগাতার বন্ধ রয়েছে এই হাট। ফলে আটকে গেছে লক্ষ মানুষের রোজগার এমনটাই জানাচ্ছেন এই হাটের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন। শুক্রবার সকালে হাটের ভিতরের দোকানদারেরাও অবিলম্বে ব্যবসা চালুর পক্ষে সওয়াল করেন। গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে সরব হন তাঁরা। হাটের ভিতরের এই দোকানদারেরা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ১০০ দিন ধরে তাদেরও ব্যবসা বন্ধ। সকলেরই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সকলে।
একইসঙ্গে কারিগর, দর্জি, কাটারম্যান, এমব্রয়ডারিওয়ালা, মহাজন, শ্রমিক সকলেরই একই দুরাবস্থা। এই পরিস্থিতিতে তারা চান করোনা সতর্কতা মেনে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে আগামী ৮ জুলাই থেকে দোকান খুলতে। সপ্তাহে আপাতত চার দিন (বুধ – শুক্র) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত তারা ব্যবসা করতে চান। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যেন তাদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, রেডিমেড ও হোসিয়ারি পণ্য ব্যবসার ক্ষেত্রে শুধু জেলায় বা রাজ্যে নয় সারা দেশেই গুরুত্ব বহন করে হাওড়ার এই হাট। হাওড়া শহরের কেন্দ্রে যেখানে এই হাট বসে সেখানেই রয়েছে জেলা আদালত, জেলাশাসকের অফিস, জেলা হাসপাতাল সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অফিস। সেখানে কাজের দিনে হাট বসলে সামাজিক দুরত্ব বিধি লঙ্ঘিত হতে পারে। যার জেরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা। এই কারণে মঙ্গলাহাট খুলে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।