হাওড়া , ২৫ জুন:- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো ৩১ জুলাই পর্যন্ত বেড়েছে লকডাউনের মেয়াদ। এরপরই বৃহস্পতিবার কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলি সিল করে দেওয়া শুরু করল পুলিশ। হাওড়ায় কমিশনারেট এলাকায় ২৭টি কন্টেনমেন্ট জোনকে কড়া পুলিশি পাহারায় ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের এলাকার বাইরে বের হওয়া বা বাইরে থেকে কারও এলাকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, শহরে মোট কন্টেনমেন্ট জোন ৮৪টি। তারমধ্যে ২৭টিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে যাতায়াতের রাস্তায় ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে।
ওইসব এলাকার দোকান, বাজার সব বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তার ধারে বোর্ড লাগিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা হয়েছে। আবার শুরু হয়েছে পুলিশি টহল। পুলিশের এই তৎপরতায় সংক্রমণ কমবে বলেও মনে করছেন অনেকে। প্রায় ২৭টি এলাকায় আবার পুরোদমে লকডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এইসব এলাকায় পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া ঢোকা বা বেরনো যাবে না। মধ্য হাওড়ার পি কে ব্যানার্জি রোড, রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেনে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও উত্তর হাওড়ার কয়েকটি এলাকা সিল করে দিয়েছে পুলিশ। মালিপাঁচঘড়া, হাওড়া সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে। আনলক-১ এ লাগামছাড়া মনোভাবের ফলে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। বিধিনিষেধ না মানার ফলেই হু হু করে বাড়ে আক্রান্তের সংখ্যা। এরপর ফের তৎপরতা শুরু হয়।