এই মুহূর্তে জেলা

লকডাউনের আজব খেল , নিমেষে উধাও সাপ , ব্যাঙ থেকে বালি , টিউব লাইট !


চিরঞ্জিত ঘোষ , ১৯ জুন:- কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। সেই ইচ্ছেশক্তি কে ঢাল বানিয়েই লক ডাউনে কর্মহীন হয়ে নেশা কে পেশা করেছেন চন্ডীতলার থেরো গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষ বাগ। অবলীলায় চিবিয়ে খাচ্ছেন টিউব লাইট ,বালি ,ব্লেড। অনায়াসেই মূহুর্তের মধ্যে কাঁচাই সাবার করছেন সাপ,ব্যাঙ ,টিকটিকি। নিজের সহজাত প্রবৃত্তি কে পাথেয় করেই গ্রামেগঞ্জে রাস্তায় খেলা দেখিয়ে দু’চার পয়সা যা রোজগার হয় তাতেই দিব্যি চলে যায় সুভাষের।স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে সুভাষ জানায় ,ছয় বছর বয়সে এলাকায় বালি বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে আরামবাগে চলে যায়।

সেখানে বালি চেখে মিষ্টি স্বাদের অনুভূতি পায় সে।ব্যাস তারপর থেকেই বালির নেশায় খাদানে খাদানে ঘুরে বেড়ানো ।গ্রামে ফিরেও সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি। বালির পর টিউব লাইট,ব্লেড,কাঁচের টুকরো সব কিছুই নিমেষে সাবার করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন রোজকার মতোই। মুখের স্বাদ বদলের জন্য দিনের বেলা টিউব লাইট,কাঁচ, বালি খেলেও রাতে সাপ,ব্যাঙ দিয়েই উদরপূর্তি করতে থাকে সুভাষ।সামান্য কিছু রোজগার হত।কিন্তু লকডাউনে সব থমকে যেতেই মন খারাপ সুভাষের। যাঁরা টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করত লক ডাউনের বাজারে তারাও হাত গুটিয়ে নেয়। কাজেই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নেশা কে পেশা করেই হাটে বাজারে বাজিমাৎ করার যুদ্ধ চালাচ্ছেন সুভাষ।