সোজাসাপটা ডেস্ক , ১৫ জুন:- করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে টানা ৮২ দিন বন্ধ থাকার পরে আজ সোমবার থেকে খুলল বেলুড় মঠ। এখন দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ও বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বেলুড় মঠ খোলা থাকবে। তবে দর্শনার্থীদের জন্য একাধিক নিয়ম চালু করেছে মঠ কর্তৃপক্ষ। মূল প্রবেশদ্বারে প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। তার আগে প্রবেশদ্বারের বাইরে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে ছাউনির নিচে কিছুটা বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। তারপর থার্মাল স্কিনিং করে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে। কারও শরীরের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে তাকে বেলুড় মঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককেই মাস্ক পরে মঠে আসতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে মঠে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি মেনে মঠে প্রবেশ করানোর পর একসঙ্গে সর্বাধিক ১০ জনকে রামকৃষ্ণদেবের মূল মন্দিরে যেতে দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মঠের কর্মী ও সন্ন্যাসীদের সঙ্গে এক এক করে ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রেখে দর্শনার্থীরা মূল মন্দিরে প্রবেশ করছেন। এই ব্যাপারে দর্শনার্থীদের প্রবেশ পথে ৬ ফুট দূরত্ব অন্তর অবস্থান চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার আগে ফের একবার ভালো করে হাত ধুতে হবে। মূল মন্দিরের ভিতর শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে প্রণাম করা যাবে। সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করা যাবে না। বসাও চলবে না। মন্দিরে বসে সন্ধ্যারতিও দেখা যাবে না। স্বামীজির আবাসগৃহেও এখন দর্শনার্থীরা যেতে পারবেন না। মূল মন্দির থেকে বেরিয়ে ব্রহ্মানন্দের মন্দির, শ্রীমায়ের মন্দির ও স্বামীজির সমাধি মন্দির দর্শন ও দাঁড়িয়ে প্রণাম করতে পারবেন ভক্তরা এমনই জানিয়েছে মঠ কর্তৃপক্ষ।
এরপর একইভাবে সমস্ত নিয়ম মেনে বেরিয়ে যেতে হবে দর্শনার্থীদের। মঠ খুললেও দর্শনার্থীদের ভোগ বিতরণ এখন বন্ধ থাকবে। এছাড়া বেলুড় মঠের মিউজিয়াম, বুকস্টোর্স, সারদাপীঠও এখন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বেলুড় মঠের অধ্যক্ষ মহারাজের দর্শন ও প্রণাম এবং অন্যান্য মহারাজ ও সাধুদের প্রণামও এখন বন্ধ থাকছে। সেইসঙ্গে বেলুড় মঠে দীক্ষা দানও এখন বন্ধ থাকছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অবশেষে খুলে গেলো কামারপুকুর শ্রী রামকৃষ্ণ মঠ।দর্শনার্থীদের অনুরোধে আজ থেকে খুলে গেলো মঠ।তবে মঠে প্রবেশের পূর্বে যথেষ্ট সচেতনতা বাড়ানো হয়েছে।থার্মাল স্ক্রিনিং থেকে সামাজিক দূরত্ব ও স্যানিটাইজ সবের ব্যাবস্থা থাকছে।মঠের নজরদারী যথেষ্ট বেশী করা হয়েছে।তবে যাই হোক দীর্ঘদিন পর মঠ খুলে যাওয়ায় দর্শনার্থীরা যৎপরানায় খুশি।