চিরঞ্জিত ঘোষ, ১০ জুন:- করোনা এবং আমফানের জোড়া বিপর্যযে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা । সেই সময়ে এ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব অবিবেচকের মত আচরণ করে চলেছে , তারা নানাভাবে রাজ্যের মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন এবং আমাদের রাজ্যকে অপমান করছেন । আজ ডানকুনিতে চন্ডীতলা বিধানসভা কেন্দ্রে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এ তীব্র ভাষায় বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন । চন্ডীতলা বিধানসভার বিধায়ক স্বাতী খন্দকার । তিনি বলেন যখন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিপদের দিনে মানুষের পাশে রয়েছেন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট যাতে লাঘব হয় তার চেষ্টা করছেন দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন মানুষদের পাশে দাঁড়াতে । সেই সময় এইসব বিজেপি নেতারা মানুষের মনে বিষ ঢোকাছেন তারা নানাভাবে নানা ধরনের প্ররোচনা দিয়ে চলেছেন। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করছে মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন এমনকি তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করারও চেষ্টা করছেন ।শুধু তাই নয় নানা বিষয়ে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নেমে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সেই সময় আমাদের রাজ্য থেকে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদরা বাড়িতে চুপ করে বসেছিলেন।
বিপদের দিনে তারা মানুষের পাশে আসেননি। কিন্তুু সুযোগ বুঝে তারা নোংরা খেলায় নেমে পড়েছেন । যখন আমাদের রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন তখন বিজেপি নেতারা তাদের কথা চিন্তা করেননি ।আমাদের মানবদরদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রথম থেকেই উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের চিঠি লিখেছিলেন এবং রেলকে অনুরোধ করেছিলেন স্পেশাল ট্রেন দেবার । কিন্তু সময়মতো রেল কর্তৃপক্ষ সেই ট্রেন বন্দোবস্ত না করায় দীর্ঘদিন আমাদের রাজ্যের শ্রমিকরা অন্য রাজ্যে আটকা পড়েছিলেন ।এমনকি তাদের বহু শ্রমিক ফেরার পথে রেল কম্পার্টমেন্টের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন । যেটাকে এ রাজ্যের বিজেপি সভাপতি ছোট ছোট ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন । করোনা মোকাবিলায় অন্যান্য রাজ্য থেকে আমাদের রাজ্য অনেক বেশি চিকিৎসার ব্যাপারে এগিয়ে । এমনই অপদার্থ কেন্দ্রীয় সরকার পরীক্ষা বা টেস্টের যে কিট এর প্রয়োজন হয় সেই কিট পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার তা ছিল ত্রুটিপূর্ণ।
স্বাতী দেবীর অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল প্রতিনিয়ত পশ্চিমবঙ্গকে নিশানা করে এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রচেষ্টার ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে চলেছেন। আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী তিনি ঘোষণা করেছেন যে এই কঠিন সময়ে যাতে রাজ্যের কেউ ক্ষুধার্ত না থাকে তার জন্য আগামী তিন মাসের জন্য বিনামূল্যে মাথাপিছু 5 কেজি করে চাল দেওয়ার কথা এর ফলে রাজ্যের জনসংখ্যার 90% মানুষ উপকৃত হয়েছেন । এছাড়াও কয়েকদিন আগে আমাদের রাজ্যের উপর দিয়ে প্রলয়ংকর ঝড় বয়ে গেছে তাতে রাজ্যের বহু মানুষের প্রাণ গেছে সঙ্গে সঙ্গে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং বাড়িঘর পড়ে বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছিলেন কিন্তু রাজ্য সরকার দ্রুত তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন থাকার বিকল্প বন্দোবস্ত করেছে। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই বিপদের দিনে সব সময় মানুষের পাশে থাকতে কে লড়াই করছেন অথচ রাজ্যের বিজেপি নেতা দের কোন সময়ই তাদের মানুষের পাশে পাওয়া যায়নি । তারা কেবল বাড়িতে বসে বড় বড় কথা বলেছেন এবং সুযোগ বুঝে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। বাংলার মানুষ তা কখনো মেনে নেবে না ।