এই মুহূর্তে জেলা

মাদ্রাসাতেই দুই কুসুমের মানবিক কোয়ারেন্টাইন , অনবদ্য সম্প্রীতির নিদর্শন নদীয়ার ভাগা গ্রামে।

নদীয়া, ১ জুন:- যেখানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সরকারি অনুমতি মিলছে ধাপে ধাপে, যেখানে সুশীল শিক্ষিত সমাজও কখনো বাধা দিচ্ছে গ্রামের মাঝে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা নিয়ে। সেখানেই হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ই মিলে তৈরি করল অভিনব মানবিকতার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত ভাগা গ্রামে হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায় মানুষের বাস। অযোধ্যায় রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে ভাগা গ্রামে ধর্মের ভাগাভাগি নেই! আছে শুধু সম্প্রীতি ও মানবিকতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। ওই গ্রামেরই অনেক যুবক রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন। স্বাভাবিকভাবেই এ সংকটময় মুহূর্তে গ্রামের ছেলেদের গ্রামে ফেরাতে উদ্যোগী হয় গ্রামের মুরুব্বী মাতব্বররা। রোগী আপনজন রোগ নয়। তাই দূরত্ব বজায় রেখেই গ্রামের শেষ প্রান্তে, যেখানে লোকালয় নেই,

সেখানে অবস্থিত মাদ্রাসায় সকলে মিলে গড়ে তুলেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। উপযুক্ত পরিমাণে জল আলো পাখা পায়খানা বাথরুম সব বন্দোবস্ত করা হয়েছে গ্রামের পক্ষ থেকে। এমনকি প্রত্যেকের জন্য আলাদা বালিশ বিছানা মশারিরও ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামের বয়স্ক প্রতিবেশীরা বাজার নিয়ে আসছেন, মা কাকি রা রান্না করছেন, পৌঁছে দিচ্ছেন দাদা ভাইয়েরা। তবে মাদ্রাসায় থাকতে হিন্দু ভাইদের অসুবিধা হচ্ছে কিনা! হিন্দু মা কাকিমাদের হাতের রান্না মুসলিম ভাইয়েরা খাচ্ছে কিনা ! তা নিয়ে কৌতুহল নিন্দুকদের থাকলেও ভাগাগ্রামকে কুনজরে দেখার হতভাগাদের “ডোন্ট কেয়ার, অনলি মানবিকতা হেয়ার” জানালেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।