তরুণ মুখোপাধ্যায়, ২০ মে:- যখন বর্তমান সময়ে করোনার আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা সাধারণ চিকিৎসার ব্যাপারেও অধিকাংশ চিকিৎসক কে পাওয়া যাচ্ছে না , সেই সময় কয়েক দিন আগে ডানকুনির দৃষ্টিদীপ আই ইনস্টিটিউট বর্ধমানের ৬ বছরের এক বালকের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলেন আই হসপিটালের ডাক্তার তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং ডাক্তার সুবিজয় সিনহা সহ হাসপাতালের ডাক্তারদের পুরো টিম। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে ডক্টর তনুশ্রী চক্রবর্তী জানান কয়েকদিন আগে বর্ধমানের ৬ বছরে বালক অনিদিপ মন্ডল তার জন্মদিনের আগের দিন ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে বাম চোখে লাটাই এর আঘাত লাগে এবং এই অবস্থায় কোন চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় তারা সোজা চলে আসেন আমাদের হসপিটালে ।আমরা পরীক্ষা করে দেখি তার বা চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণরূপে চলে গেছে। ঝাপসা দেখছে এবং কর্নিয়াটাও নষ্ট হয়ে গেছে। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিই তার অবিলম্বে সার্জারি প্রয়োজন কিন্তু করোনার আবহে এনেসথেসিয়া করা খুবই বিপদজনক ।কারণ এনেসথেসিয়া থেকে করোনা সংক্রমণের একটা সম্ভাবনা থাকে ।
কিন্তু ৬ বছরের ছোট্ট বালকটির কথা চিন্তা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিই এই অপারেশন আমরা করব। এবং ১৫ তারিখে আমি ডক্টর সিনহা ডক্টর ব্যানার্জি সহ আমাদের পুরো টিম অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। এবং খুবই সুখের বিষয় আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে সাধ্যমত চেষ্টায় অপারেশন সফল হয়। এবং ওই ফুটফুটে বাচ্চাটির দৃষ্টি শক্তি আবার ফিরে আসে। তার পরদিন আমরা তার পরীক্ষা করে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দিই।অনিদিপ তার বাবা মার হাত ধরে বর্ধমানের বাড়িতে ফিরে যায়। এদিকে ডাক্তার তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং ডাক্তার সুবিজয় সিনহার এই মানবিক প্রয়াস নুতন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ।বর্তমান সময়ে যখন সারা পৃথিবী জুড়ে করোনার আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা । মানুষরা অন্যান্য চিকিৎসা থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সাহায্য পাচ্ছেন না সেইখানে দাঁড়িয়ে তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং ডাক্তার সুবিজয় সিনহার এই মানবিক প্রচেষ্টা আবারো প্রমাণ করলো চিকিৎসকরা সত্যিই ভগবান।