অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়,১১ মে:- করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ের জীবন ও করোনা পরবর্তী নির্ঘন্টের মধ্যে কতোটা ফারাক হতে পারে, সেই নিয়েই এই প্রতিবেদন । আমাদের এই লকডাউন জীবন অনেক কিছু শিখিয়ে গেল , আমাদের এই লকডাউন জীবন অনেককিছু শিখিয়ে গেল, যাচ্ছেও। আমরা যাঁরা ক্রীড়াবিদ, তারা শুধুই ভাবি আমাদের কাজ খেলা , বাকি সংসারের কাজ বাড়ির লোকেরা করবে। এবার বুঝলাম কত ধানে কত চাল ! এই সময়টা না এলে ঘরের কাজের গুরুত্ব বুঝতাম না। সব কাজেরই একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, সেটি অনুধাবন করলাম। বাড়িতে কাজের লোক না রেখেও যে আমরাও সব কাজ করতে পারি, এই সাবলম্বিতাও আমাদের শিখিয়ে গেল এই সময়। তার চেয়েও বড় বিষয়, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যবহার করার প্রবণতা কমেছে আমাদের। বুঝতে শিখলাম জীবনে যতটা প্রয়োজন, ততটাই ব্যবহার করতে শেখ। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের খরচও অনেক কমে গিয়েছে। হোটেল, রেস্টুরেন্টে যাওয়া নেই, ভাল খাবারের বিলাসিতা নেই, এটিও তো আমাদের কাছে শিক্ষার। আগে আমরা সেই ভাবে জানতামই না অনলাইন স্পোর্টস কতোটা কার্যকরি হতে পারে। শারীরিক অ্যাক্টিভিটি ছাড়াও অনলাইন ঘরে থেকে খেলার টেকনিক্যাল বিষয় রপ্ত করতে পারছে শিক্ষার্থিরা, এটিও তো দেখাল এই পর্যায়। তবে করোনা পরবর্তী জীবনে ফিরে গেলে আমরা আবারও বিলাসিতায় অভ্যস্ত হবো কিনা, সেটি সময় বলবে। কিন্তু আমার একটাই বক্তব্য যে, এই লকডাউন সময়ের গুরুত্ব যেন আমরা না ভুলি। এটি ভুলে গেলে মানুষ আবার পিছনের দিকে হাঁটতে শুরু করে দেবে।