সৌরভ রায়,৭ মে:- গোটা দেশে লকডাউনের জেরে বন্ধ সমস্ত খেলাধূলা। ফলে রঞ্জির পর থেকেই সরকারের নির্দেশ মেনে গৃহবন্দি বাংলার ক্রিকেটাররা। প্রত্যেকেই নিজের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। তবে অন্যরা যখন বাড়িতে সিনেমা দেখা, গান শোনা বা ফিটনেস চর্চায় ব্যস্ত। তখন অন্যদিকে পরিবারের সঙ্গে নয়, নিজের বৃহৎ পরিবারের পাশে প্রতিদিন সেবামূলক কাজে সদা ব্যস্ত বাংলার তারকা অলরাউন্ডার অভিজ্ঞ অর্ণব নন্দী। চুঁচুড়ায় বাড়ি অর্ণবের। করোনা পরিস্থিতিতে সেখানকার স্থানীয় দুঃস্থদের জন্য তৈরী করেছেন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে প্রতিদিন গরীব মানুষদের তুলে দিচ্ছেন চাল-ডাল ও অন্যান্য সামগ্রী। এছাড়াও সপ্তাহে দুদিন করে প্রায় ৩০০ জন দুঃস্থ মানুষকে রান্না করে ভাত-তরকারি সেবা করাচ্ছেন। এছাড়াও বর্ধমানে আরও একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বাংলার এই তারকা। সেই সংস্থার মূল দায়িত্বে রয়েছেন শুভম নিয়োগী ও জগু সাউ।
সেই সংস্থার মাধ্যমে প্রতিদিন খাবার রান্না করে একবেলা করে খাওয়ানো হচ্ছে প্রায় ২০০ জন দুঃস্থকে। লকডাউনের দিন থেকে শুরু করে যত দিন এই লকডাউন চলবে প্রতিদিন পেটভরে খাওয়ানো হচ্ছে। অর্ণব নন্দী ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় চলছে সেবাকার্য। এছাড়াও চুঁচুড়া হাসপাতালে রক্তের চাহিদা মেটাতে কিছুদিন আগে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন অর্ণব নন্দী। সেখানে তিনি নিজেও রক্তদান করেন। মানুষের পাশাপাশি এলাকার কুকুরদেরও খাওয়ানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন অর্ণব নন্দী। প্রতিদিন রাতে পাড়ার ৫০ থেকে ৭০টি কুকুরকে খাওয়ানো হয় ।করোনা পরিস্থিতিতে সমাজ সেবামূলক কাজে সদা ব্যস্ত বাংলার তারকা অলরাউন্ডার। এর বাইরে থানার অনুমতি নিয়ে প্রতিদিন ভোরে অথবা রাতে দিনে একবার করে মাঠে গিয়ে একাই অনুশীলন করছেন অর্ণব। বাংলার পরের মরসুমের জন্য নিজেকে ফিট রাখতে ট্রেনারের নির্দেশ মেনে ব্যায়াম, দৌড়ানো ইত্যাদি করছেন তিনি। একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে লকডাউন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন অর্ণব নন্দী। দেশ যাতে দ্রুত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে তার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছেন বলেও জানালেন অর্ণব।