কোচবিহার,৯ এপ্রিল:- লকডাউনের মধ্যেই সপ্তাহান্তে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঝড়-বৃষ্টির প্রবল জেরে ব্যাপক ক্ষতির কৃষক ও সাধারন মানুষ। বুধবার গভীর রাতে দফায় দফায় শিলাবৃষ্টি হয়। প্রায় ২০ মিনিট শিলাবৃষ্টিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি তুফানগঞ্জ ও দিনহাটা মহকুমা জুড়ে। যদিও দিনহাটায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায় নি। জানা গেছে, দিনহাটার পুটিমারি গ্রামে পঞ্চায়েতের বালাকুঁড়া, কুচনি দমকা হাওয়ায় বেশ কিছু গাছ পালা ভেঙ্গে পড়ে। এছাড়াও নাজিরহাট শালমারার, বাসন্তিরহাট, ওকড়াবারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকায় সামান্য শিলাবৃষ্টি হয়। অন্যদিকে বুধবার রাতের এই শিলাবৃষ্টিতে তুফানগঞ্জের প্রায় ২৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে কৃষকদের দাবি। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা৷ এখন পাট, ভুট্টা ও লঙ্কা চাষের মরশুম চলছে। এই ভরা মরশুমে তুফানগঞ্জ মহকুমার গ্রাম গুলিতে ব্যাপক ভুট্টা চাষ ও পাট চাষ, লঙ্কা চাষও হয়েছে। এই পরিস্থতিতে গতরাতের শিলাবৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।
এবিষয়ে স্থানীয় কৃষক কার্ত্তিক রায় বলেন, এবছর আমাদের এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভুট্টা ও লঙ্গা এবং পাটের চাষ হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ভূট্টা গাছ ভেঙে গিয়েছে, লঙ্কা পাথরের আঘাতে পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পাটের আগা থেতলে গিয়েছে। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছেন। কৃষি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আধিকারিকদের জানানো হয়েছে এলাকা পরিদর্শন করে যাতে কোন কোন কৃষকের ক্ষতি হয়েছে তার যেন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়। এবিষয়ে তুফানগঞ্জ কৃষি দপ্তরের আধিকারিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যে যে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আমাদের আধিকারিকরা খোঁজ নিচ্ছেন। তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের বালাভুত, নাককাটিগাছ সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চাষের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের পাশেই রয়েছে কৃষি দপ্তর। বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন, উত্তর এবং দক্ষিণ দুই বঙ্গেই শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত চলবে এই বিক্ষিপ্ত ঝড় ও বৃষ্টি। আগামী দু’দিনে এর পরিমান সবথেকে বেশি হবে। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় শিলাবৃষ্টি পর্যন্ত হতে পারে বলেই পূর্বাভাস করা হয়েছে।