কোচবিহার মেখলিগঞ্জ,৫ এপ্রিল:- কোরানা আতঙ্কে বন্ধ সীমান্তে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট৷কিন্তু ,ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বন্ধ থাকলেও বৈদেশিক বানিজ্যে চালু বা বন্ধ থাকার বিষয়ে কোন নির্দেশিকা আসেনি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে৷যার জেরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট লক থাকলেও সীমান্তে বানিজ্যে আমদানি-রপ্তানি নিষেধাক্কা নেই৷ এই অবস্থায় গত ২২ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি নিজেরাই৷দেশ জুড়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে শনিবার দুপুরে ফের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাক যেতে শুরু করে৷স্থানীয় বাসিন্দারা বানিজ্য বন্ধ করার জন্য সীমান্তে আসেন৷ ৷পুলিশের সঙ্গে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা৷বানিজ্য বন্ধের দাবিতে সার্করোডে বিক্ষোভ দেখান তারা৷চ্যাংরাবান্ধা শুল্ক দপ্তরের আধিকারিক কপিল বাইন আগেই জানিয়েছেন “চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে বৈদেশিক বানিজ্য বন্ধের বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে কোন নিষেধাক্কা আসেনি৷উলেখ্য যে ,কোরানা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে গত ২২ মার্চ থেকে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন
ট্রাকওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ,এবং সি অ্যান্ড এফ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বৈঠক ডেকে নিজেরাই বানিজ্য বন্ধ রাখেন ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৷ শনিবার দুপুরে ফের বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাক রপ্তানি করা হয় ৷সেই ট্রাক গুলোতে পাটবীজ ছিল বলে জানা যায় ৷ স্থানীয়বাসিন্দারা বানিজ্য বন্ধের আবেদন নিয়ে ছুটে যান বানিজ্য কেন্দ্রে৷ সেখানে বাঁধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন৷স্থানীয়বাসিন্দাদের দাবি “কোরানা আতঙ্কে দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে ,এর মধ্যে আন্তজার্তিক বানিজ্য চালু থাকলে আতঙ্ক বাড়বে এলাকায় ,থাকবে সংক্রমনের আশঙ্কা৷ কেননা ট্রাক চালকদের কোন প্রকার সুরক্ষা নেই ,তারাই ফিরে এসে অন্যের সংস্পর্শে আসবে ৷ এতে আতঙ্ক বাড়বে৷তাই তারা চান আগে কোরানা পরিস্থিতি ঠিক হৌক৷এদিন ,বানিজ্যকেন্দ্রে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে জিরো পয়েন্ট দিয়ে যাবার সময় রাস্তারবিশাল পুলিশও বাহিনী মতায়ন ছিল৷যদিও ,এই বিষয়ে ব্যবসায়ীরা কোন মন্তব্য করতে চাননি ৷