প্রদীপ সাঁতরা, ২৩ মার্চ:- করোনা মোকাবিলায় শহর কলকাতাকে পরিচ্ছন্ন রাখার দিকেও বাড়তি জোর দিচ্ছে পুরসভা। শহরের জঞ্জাল সাফাই ব্যবস্থার পরিদর্শনে বেরিয়ে এই বার্তাই দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। চীনেও করোনা ঠেকাতে রাস্তা ধোয়াকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিল। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কলকাতার ফিরহাদ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ২০টি স্প্রিংকলার দিয়ে শহরের ১২০ কিলোমিটার রাস্তা ধোয়া হচ্ছে। রাস্তা জীবাণুমুক্ত করাই এর প্রধান লক্ষ্য।’ উল্লেখ্য, করোনার আতঙ্কে রাস্তাঘাট বেশ ফাঁকা। এই সুযোগে ভাল করে পরিষ্কার করা হতে চলেছে রাস্তাঘাট। কারণ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকলে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে না। রাস্তা ধোয়ার কাজে গুরুত্ব দিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা,বিধাননগর পুরনিগম এবং নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদও (এনকেডিএ)।
বিধাননগর পুরনিগমও সল্টলেকের ১৭ কিলোমিটার এবং বাকি এলাকায় ২৭ কিলোমিটার রাস্তা ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে। এনকেডিএ চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, গত কয়েকদিন ধরেই বিশ্ব বাংলা সরণি–সহ সব রাস্তা জল দিয়ে ধোয়া হচ্ছে।
রবিবার জনতা কার্ফুর মধ্যে শহর ঘুরলেন মেয়র ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ ডিজি শুভাশিস চ্যাটার্জিকে সঙ্গে নিয়ে ফিরহাদ বেরিয়ে পড়েন। প্রথমে তিনি যান চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতে।
পুরকর্মীরা কীভাবে কাজ করছেন তা তিনি তাদের কাছ থেকে জানতে চান। তিনি বলেন, ‘মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। এছাড়া স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। কাজ করতে গিয়ে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না তাও তিনি জেনে নেন। চাঁদনি মার্কেট, মানিকতলা, হাজরা ও এজেসি বোস রোডে গিয়ে ফিরহাদ সাফাই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কীভাবে তারা কাজ করছেন তাও তিনি দেখেন। বড় রাস্তাগুলি ঠিকমতো ধোয়া হয়েছে কিনা তা ওভারসিয়ারদের কাছ থেকে জেনে নেন। মেয়র বলেন, ‘জঞ্জাল দপ্তরের যে সমস্ত কর্মী রাস্তায় নেমে কাজ করেন তাদের প্রত্যেককে ওয়ার্ড অফিস থেকে হাত ধোয়ার সাবান জল, অ্যাপ্রন দেওয়া হয়েছে।’ এদিন পুরমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বাড়ির অফিস থেকে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করেন। অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। এখন দেখার অন্যান্য শহরের পুরসভাও কি এই ভাবে রাস্তার জীবাণুমুক্ত করার কাজে নামে কিনা !