এই মুহূর্তে খেলাধুলা

কে বড়ো প্লেয়ার পিকে না কোচ পিকে এর উত্তর শেষ দিনেও অমিল।

অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় , ২০ মার্চ:-  আসল কথাটা পিকে এর সেরা ছাত্র সুভাষ ভৌমিক ই বলে গেলেন , প্রদীপদা বলতেন দুয়ে দুয়ে শুধু গুন করলে চার হয় না যোগ করলেও হয়। পরিস্থিতি বুঝে খেলবি। সব সময় উঠবি না দরকার পড়লে নামবি। সেই প্রদীপ ব্যানার্জীর শেষ যাত্রা দুয়ে দুয়ে চার কিন্তু হলো না। যে শেষ যাত্রায় আবেগ এর অশ্রুধারা তে বয়ে যেতে পারতো কলকাতা ময়দান সেখানে করোনা আতঙ্ক এ শেষ যাত্রায় পিকে তার প্রিয় কলকাতা ময়দান এ যেতে পারলেন না। মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু বলেন, কি করা যাবে প্রদীপদা র এটা প্রাপ্য ছিল না। অনেক রাজকীয় সন্মান প্রদীপদার জন্য অপেক্ষা করছিলো।  তবে এমন পরিস্তিতি যে সবাই কে মেনে নিতেই হবে। তবে মোহনবাগান ক্লাব পরিস্থিতি ঠিক হলে প্রদীপদার আত্মার শান্তির উদেশ্য কিছু ব্যবস্থা করবে।ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, এই যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এর এতো নাম তার সিংহ ভাগ অবদান প্রদীপ ব্যানার্জীর।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                      সে কারণে আমরা শতবর্ষ এ সেরা কোচ এর পুরস্কার দিয়েছিলাম।  ভারতের অবস্থা স্বাভাবিক হলেই প্রদীপদাকে আমরা স্মরণ করবো। পিকে কোচিং জীবনে এর সেরা কীর্তি বলতে গিয়ে দেবব্রত বলেন, সবাই তো পাঁচ গোল এর কথা বলো কিন্তু ৭৫ সালে লীগে এর ম্যাচ এ ১ গোল এ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল।  সেখানে প্রদীপ দাকে ইস্টবেঙ্গল মাঠ এ ইডেন থেকে সমর্থক রা কাঁধে করে নিয়ে এসেছিলো।  এমন অসংখ্য স্মৃতি যা বলে শেষ হবে না।  এদিন হাসপাতাল থেকে বাড়ি যখন আনা হবে হাতে গোনা কিছু গুটি কয়েক মানুষ পিকের সল্টলেকে এর বাড়িতে মাঝে মধ্যে চিমটি কেটে দেকতে হবে এটা ভারত এর অন্যতম সেরা ফুটবল আইকন এর শেষ যাত্রা তো। এরপরে আসতে আসতে গুরু কে প্রণাম জানাতে এলেন প্রদীপ চৌধুরী, শাম ঠাপা, সুব্রত ভট্টাচাৰ্য  রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বিধান নগর এর মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী পুরো ব্যবস্থা পরিচালনা করেন।  তবে পিকে এর দেহ যখন রাখা তার বাড়ির সামনের মাঠে তার শীর্ষরা গোল বৈঠক এ বসেছিলেন তাঁদের আলোচনা বিষয় কে বড়ো কোচ খেলোয়াড় পিকে না কোচ পিকে সুভাষ ভৌমিক, আমাকে উনি যা বুজতেন আমার বৌ ও বুঝতো না l সব থেকে গালাগালি আমাকে কে করতো কিন্তু সব চেয়েছিলাম প্রিয় ছাত্র আমি ছিলাম উনার। প্লেয়ারদের ভেতরে ঢুকতে কজন কোচ পারে উনি সেটা পারতো বলেই ময়দান এর ইতিহাস এ সেরা কোচ উনি সুব্রত ভট্টাচাৰ্য ও একমত সুভাষ এর সঙ্গে তিনি বলেন, খেলা দেখেছি তবে কোচ পিকে সঙ্গে কাজ করেছি বলে বলছি কোচ পিকে সেরা।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                        ভাস্কর গাঙ্গুলী জানান, বড়ো ক্লাব এর অনেক সুবিধা থাকে কিন্তু ছোট ক্লাব থেকে উঠে আসতে কজন পারে রেল থেকে উঠে এসে তো কোচ হলো তাই আমি প্লেয়ার হিসেবে প্রদীপ দাকে এগিয়ে রাখি আর ফুটবল প্রেম নিয়ে তো কথাই হবে না। সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় আবার অন্য সুরে তিনি জানান, কোচ ও ফুটবলার দুটো বিভাগ এই কজন সাফল্য পেয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে হাতে গোনা কটা নাম।  তার মধ্যে আমাদের প্রদীপ দা আছে  শ্যাম ঠাপা সেই বিখ্যাত ভোকাল টনিক এর প্রসঙ্গ এ চলে গেলেন, সবার আগে তোমার দেশ এই দেশ তোমার মা। এই জার্সি পরে খেলছো এর সন্মান করো। হারবে না সামনে যেই আসুক। এই বলে কোরিয়ার সেই দলকে হারানো মুখের কথা নাকি। এখন কার ফুটবল এ এমন ব্যক্তি কোথায় সে কারণে তো ভালো প্লেয়ার উঠছে না। আর প্রত্যেক এর আলোচনা তে বাংলা ফুটবল এর বর্তমান মৃতপ্রায় অবস্থা উঠে এলো পিকে এর দেহ ওর ঢিল ছোড়া দূরত্ব এ যেখানে কাঁদছেন তার ভাই প্রসূন। শুধু কি প্রসূন কাঁদছেন বাংলার ফুটবল কি পিকে কে হারিয়ে কাঁদছে না। তাই তো দুয়ে দুয়ে চার হলো না পিকে বাংলার ফুটবল এর সোনার সময় তো দেখে যেতে পারলেন না। সে কারণে করোনা হয় তো একটা উপলক্ষ্যে মাত্র অভিমান এই ময়দান এ গেলেন না সর্বকালের ভারতীয় ফুটবল এর সেরা অলংকার। শুধু নিয়ে গেলেন অলিম্পিক ব্লেজার ও আবেগ এর অশ্রু ধারা।

There is no slider selected or the slider was deleted.