হাওড়া , ২০ মার্চ:- বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। ছাড় পায়নি এ রাজ্যও। সতর্কতা হিসাবে ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। এমন অবস্থায় ছাত্রছাত্রীরা যাতে পড়াশোনায় পিছিয়ে না পড়েন সেই কথা ভেবে বেলুড় লালবাবা কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিনব পদ্ধতিতে কলেজর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন। এই কাজে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন কলেজের অধ্যক্ষ নিজেই। কলেজের বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপেই চলছে শিক্ষাদান।শিক্ষককে অনলাইনে প্রশ্ন করছেন ছাত্রছাত্রীরা। আর তার উত্তর দিচ্ছেন শিক্ষকরা। এরজন্য নির্দিষ্ট সময় করে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় সকলেই অনলাইন থাকছেন। গুগল এবং হোয়াটস অ্যাপের সহায়তায় চলছে পড়াশোনা। লালবাবা কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমার বলেন, এতে খুশি ছাত্র-ছাত্রীরাও। কাছেই পরীক্ষার সময় এসে গেছে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন তারজন্যই অনলাইনে পড়াশোনা চালু করেছি আমরা। সারা দেশেই এখন এক ভয়াবহ পরিস্থিতি।
করোনা সতর্কতা হিসেবে আমাদের রাজ্যেও স্কুল কলেজ সব ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি যাতে ছাত্রছাত্রীরা তাদের সিলেবাস থেকে পিছিয়ে না পড়েন। ওদের এগিয়ে রাখার জন্য আমরা ঠিক করেছি অনলাইনে পড়াশোনা করাব। আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের অনুরোধ করেছি যাতে বাড়ি থেকেই ক্লাসের ব্যবস্থা করা যায়। এরজন্য আমরা গুগল এবং হোয়াটসঅ্যাপ এর সাহায্য নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লাইভ রেখে শিক্ষকদের নিয়ে এই বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করেছি। ছাত্রছাত্রীরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন শিক্ষকদের কাছে জেনে নিচ্ছেন। এতে তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হচ্ছে। শিক্ষকরা তাদের সিলেবাস এই ভাবেই এগিয়ে দিতে পারছেন। হাতে আর মাত্র এক মাস। তারপর সামনে পরীক্ষা। যাতে সকলেই পরীক্ষার আগে সিলেবাস শেষ করতে পারেন তারজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা এতে উপকৃত হচ্ছেন। বাংলা, ফিলোজফি, জিওগ্রাফি, ইকোনমিক্স সহ বিভিন্ন বিষয়ের পড়া এভাবেই বাড়িতে বসে অনলাইনে করার ব্যবস্থা হয়েছে। আমরা সরকারের সমস্ত রকম নির্দেশিকা মেনে কলেজে ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছি। কিন্তু যাতে ছাত্রছাত্রীরা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, বাড়িতে বসেই তারা যাতে সিলেবাস শেষ করতে পারে এই কারণেই এই অনলাইনে পড়ানোর ব্যবস্থা আমরা করেছি।