হুগলি,১৬ মার্চ :- সম্প্রতি বাঁকুড়া ও কোলকাতায় জলের ওভারহেড ট্যাঙ্ক ভেঙে পরেছে। কিন্তু তারপরও টনক নড়েনি প্রশাসনের। হুগলীর মগরা থানার অন্তর্গত চন্দ্রহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে পিএইচ ইর ওভারহেড ট্যাঙ্ক দেখলে তেমনটাই মনে হয়। ১৯৮২ সালে চুঁচুড়া-মগরা ব্লকে পাড়ায়-পাড়ায় পানীয় জল সাপ্লাইয়ের জন্য এই ট্যাঙ্ক তৈরীর কাজ শুরু হয়। ২বছর পর সেই ট্যাঙ্কি চালুও হয়। বর্তমানে এলাকার ২৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই ট্যাঙ্কির জলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমানে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে এই ট্যাঙ্কির করুন দশা। যখন-তখন সিমেন্টের চাঙর ভেঙে পরছে। বহু জায়গাতেই কংক্রিটের এই ওভারহেড ট্যাঙ্কের কঙ্কালসার চেহারা বেড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি, বিডিও, থানা সর্বপরি পিএইচও সর্বত্র জানিয়েও আজ অবধি কোন কাজ হয়নি। গ্রামবাসীদের বক্তব্য এলাকাতেই রয়েছে বিশপাড়া হাই স্কুল। এই বিপদজনক ট্যাঙ্ক সংলগ্ন রাস্তা দিয়েই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা যাতায়াত করে।
যখন তখন ঘটে যেতে পারে বড়সড় বিপদ। পাশাপাশি ট্যাঙ্কটির কয়েক মিটার দূরেই রয়েছে বসতি। একই অবস্থা রাস্তার পাশে থাকা ট্যাঙ্কের সীমানা প্রাচীরেরও । বাসিন্দারা বলেন চালু হওয়ার পর থেকে আজ অবধি এই ট্যাঙ্কের কোনরকম মেরামতি হয়নি। ট্যাঙ্ক চত্ত্বর আগাছায় ভরে গেছে। পানীয় জলও ঘোলাটে ও দুর্গন্ধ যুক্ত। ইতিমধ্যে কল থেকে কেঁচো পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ ট্যাঙ্ক পরিচালনার দ্বায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের বলতে গেলেই বলে না পাওয়ার থেকে এটা পাচ্ছেন সেটাই ভালো । তাই এলাকার মহিলারা বলেন একে তো করোনা আতঙ্কে রয়েছি তারউপর এই ট্যাঙ্ক ও দুর্গন্ধ যুক্ত পানীয় জল আতঙ্কে আমাদের নাজেহাল অবস্থা। এবিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির সুমন্ত দাসের বক্তব্য আমি গ্রামবাসীদের সাথে এবিষয়ে ৫জায়গায় জানিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। অবিলম্বে কাজ শুরু না হলে আমরা আন্দোলনে নামবো । অন্যদিকে এবিষয়ে চন্দ্রহাটি-১ পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের মিঠু দাস বলেন এটা পিএইচই-র বিষয় পঞ্চায়েতের কিছু করার নেই । যদিও এবিষয়ে পিএইচই দপ্তরের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।







