হাওড়া,১৩ মার্চ :- হকারদের হাতাহাতিতে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল বীরভূমের নলহাটি থানার উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা শুভ্রজ্যোতি পালের (১৯)। গত ৬ মার্চ শুক্রবার বিকেলে বালি আর উত্তরপাড়া স্টেশনের মাঝে ওই ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গোটা রাজ্যে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জন হকারকে ঘটনার পরদিনই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবার পুলিশ তদন্ত নেমে এবার আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম মহঃ মুর্শিদ ওরফে সোম ( ২২ )। ওই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে বেলুড় জিআরপি থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে। এই নিয়ে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হল।
ধৃতকে শুক্রবার দুপুরে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। উল্লেখ্য, ঘটনার দিন দুপুরে দূরপাল্লার ট্রেন ধরে বাড়ির পথে রওনা হয়েছিলেন মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া মেধাবী ছাত্র শুভ্রজ্যোতি। তদন্তে নেমে রেল পুলিশ জানতে পারে, পার্কসার্কাসের এক মেসে থাকতেন তিনি। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি তিনি পড়াশোনা করতেন কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে। ঘটনার দিন দুপুরে তিনি হাওড়া থেকে মালদহ-ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরায় উঠেছিলেন। ভিড় থাকায় দরজার কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে মালপত্র রাখা নিয়ে হকারদের মধ্যে মারামারির জেরে ধাক্কা লেগে চলন্ত ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে যান শুভ্রজ্যোতি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এরপর পরদিন সকালে দুই হকারকে ( চন্দন কুন্ডু, ৩৫ ও মাখন রায়, ৩৪ ) ব্যান্ডেল স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর মামলা দায়ের করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ১২ মার্চ সন্ধ্যায় এই ঘটনায় আরও এক হকারকে গ্রেফতার করল বেলুড় জিআরপি। শুক্রবার তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। মুর্শিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি আইনের ৩০৪/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এবিষয়ে বেলুড় রেল পুলিশ থানা সূত্রের খবর , ঘটনার তদন্তে নেমে তিন হকারের নাম উঠে আসে। এদের মধ্যে আগেই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাকি একজনকেও গ্রেফতার করা হয়। সে ট্রেনে জল বিক্রি করত। তাকে ব্যান্ডেলের লোকোপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। তাকে শুক্রবার আদালতে তোলা হয়েছে।