এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ার লিলুয়ায় গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু সৎকার নিয়ে টানাপোড়েন।

 

হাওড়া,২৪ ফেব্রুয়ারি:-  শ্বশুরবাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার লিলুয়ার চকপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম ইতি দে(৩২)। চকপাড়ার নরসিংহ দত্ত কলোনীর বাসিন্দা শৈলেন দের সঙ্গে গত ২০০৫ সালে ইতির বিয়ে হয়েছিল। স্থানীয় একটি কারখানার কর্মী শৈলেনের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য-কলহ বাধে বলে অভিযোগ। নানা বিষয় নিয়েই তাদের মধ্যে গোলমাল ও অশান্তি হত। রবিবার রাতেও তাদের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই তার বাপের বাড়িতে ফোন করে ইতি আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়। এই খবর পেয়েই ইতির বাপের বাড়ির লোকজন দ্রুত সেখানে পৌঁছোন। ঘরের ভিতর থেকে ইতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, এটি পরিকল্পিত খুনের ঘটনা। এই ঘটনায় ইতির স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাত রয়েছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                            এই ব্যাপারে মৃতার দাদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর ভিত্তিতে ঘটনার পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতার স্বামী শৈলেন ও দেওরকে আটক করা হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি নর্থ জানান, তদন্ত চলছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অন্যদিকে, মৃতার শ্বশুরবাড়ির পাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ নিরীহ স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে এই ঘটনায়। বিয়ের পর থেকেই ইতি অশান্তি করত বলে তাদের অভিযোগ। এদিকে, এদিন মৃতদেহ সৎকার করা নিয়েও অশান্তি হয়। পুলিশ এলাকায় আসে।এদিকে, এদিন দুই পরিবারের টানাপোড়েনের জেরে মৃতার মুখাগ্নি করা নিয়ে সমস্যা হয়। মৃতার বাড়ির তরফে অনুরোধ করা হলেও মুখাগ্নি করতে আসেনি নাবালক ছেলে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                       এমনকি পুলিশ আধিকারিকদের বারেবারে অনুরোধ সত্ত্বেও মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছেলেকে মুখাগ্নি করাতে নারাজ ছিল বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ওই নাবালকের মৃত মা শ্মশানে পড়ে রইলেন সন্ধ্যে পর্যন্ত টানা কয়েক ঘন্টা। অবশেষে কোর্টের অনুমতি নিয়ে এদিন মৃতার সৎকার করা হয়।  মৃতার নাবালক ছেলে দীপ কুমার দে জানায়, মামারা বলেছিল একা এসে সৎকার করে চলে যাবি। কিন্তু আমি বলেছি পিসি, বোন, দাদা সকলকে নিয়ে যাব।  কিন্তু আমি একা যেতে চাইনি। মামারা তাদের বাড়ির রাস্তা দিয়েও নিয়ে যায়নি মায়ের মরদেহ।

There is no slider selected or the slider was deleted.