এই মুহূর্তে খেলাধুলা

দলে কার্ড ও চোট আঘাতের সমস্যা , তবুও আইজল ম্যাচকেই পাখির চোখ মারিওর।

অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়,৬ ফেব্রুয়ারি:- আইজল ম্যাচকেই পাখির চোখ মারিওর। ডার্বি সহ বাকি ম্যাচ যুবভারতীতেই খেলবে ইস্ট বেঙ্গল । আই লিগের টেবিলে নীচে থাকা দল ইস্টবেঙ্গলের কাছে আশার আলো নেই  বললেই চলে।  তারওপর দলে কার্ড ও চোট আঘাতের সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে আজ কল্যাণীতে লিগ টেবিলের নীচের দিকে থাকা আইজল এফসির মুখোমুখি হচ্ছে টিম ইস্ট বেঙ্গল। তাদের বিরুদ্ধে জিতবে কিনা দল তা নিয়ে ধন্দে সকলে। দলের মনোবল তলানিতে। এই অবস্থায় চোট পেলেন জুয়ানমেরা গঞ্জালেস। তবে দলের ফিজিও জানাচ্ছেন তার খেলতে কোনো অসুবিধে নেই। তবে আইজলের বিরুদ্ধে দলে কয়েকটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত শোনা গেল ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ মারিওর গলায়। দলে কয়েকজন  ফুটবলারের অবস্থানও বদল হতে পারে। কার্ড সমস্যায় মার্কোস এসপাদা নেই। ফলে ক্রোমা শুরু থেকে খেলবেন। তার সঙ্গে জুটি বাঁধতে পারেন বিদ্যাসাগর সিং। হাইমে স্যান্টোস কোলাডো ফর্মে নেই। তবে কোলাডো নামবেন প্রথম থেকেই। কোলাডোকে নিয়ে মারিও জানান, ও প্রতিভাবান ফুটবলার। তবে ওর মনোসংযোগের অভাব রয়েছে । ফুটবলের থেকে অন্য ব্যাপারে ও বেশি মন দিয়ে ফেলছে। ওযদি ফোকাস ঠিক রাখে তাহলে ওকে কেউ থামাতে পারবে না। এদিকে শৃঙ্খলাজনিত কারণে আবার শোকজ করা হয়েছে কাশিম আইদারা ও গোলরক্ষক রালতেকে। ফলে কোচের দায়িত্ব নেওয়া মারিও রিবেরার কাজটা মোটেই সহজ হবে না। তবে ইস্টবেঙ্গলের  নতুন কোচ মারিও  দলের ওপর আস্থা রাখছেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                        অ্যারোজ ম্যাচে হারের পরও তিনি বলছেন, যতক্ষণ অঙ্কের বিচারে ঢিঁকে থাকবো, ততক্ষণ আস্থা রাখতেই হবে। অ্যারোজ ম্যাচে হারটা আমাদের কাছে সাময়িক একটা ধাক্কা। ১০ বারের মধ্যে ৯ বারই আমরা হারাব অ্যারোজকে। সুতরাং সেই হার নিয়ে আমরা ভাবছি না। দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় আমার কথা শুনছে। আমার পদ্ধতি রপ্ত করেছে। আইজল ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছি এই  কথাটা দিতে পারি। দরকার পড়লে পরবর্তীকালে দলে মনোবিদ রাখার কথা ভাবা হবে। চাপ কাটাতে ফিনিশিং ও পাসিং ফুটবলে বেশি জোর দিচ্ছেন অ্যালেজান্দ্রোর প্রাক্তন সহকারী। সেকারণে তিনি প্রথম ২০ মিনিটেই গোল চাইছেন। তার কথায়, প্রথমে গোল দিয়ে দিলে অনেক চাপমুক্ত  থাকা যায়। সেকারণে দলকে বলেছি চাপমুক্ত হয়ে প্রথম থেকেই আক্রমণে যেতে হবে। এখনো লিগের লড়াই বাকি আছে। এদিকে আইজল কোচ  রোজারিও বলেন, অ্যারোজ ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল হেরেছে। তাই ওরা আরো বেশি তেতে থাকবে আমাদের হারাতে। ওদের মার্কোস নেই, তবে ক্রোমার মতো ফুটবলার আছে। লড়াই কঠিন হবে। এদিকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গল – পঞ্জাব এফসি ম্যাচ। ওই ম্যাচ থেকে ফিরতি ডার্বি সহ সব হোম ম্যাচই ইস্টবেঙ্গল খেলবে সল্টলেক স্টেডিয়ামে। কোয়েস চেয়েছিলো  খরচ বাঁচাতে ডার্বি ওড়িশায়  নিয়ে যেতে। সেখানে আসরে নামেন ইস্ট বেঙ্গলের  কর্তারা। তারা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কে  ক্লাবের প্যাডে যুবভারতীতে ম্যাচ খেলার জন্য আবেদন করেন। ক্রীড়ামন্ত্রী জানান,ইস্টবেঙ্গল  ক্লাব হোম ম্যাচের জন্য সল্টলেক স্টেডিয়াম চেয়েছিলো। এখানে কোনো কর্পোরেট সংস্থা যুক্ত নয়। তাই ১৫ হাজার টাকায় আগামী সপ্তাহ থেকে সব হোম ম্যাচ সল্টলেক স্টেডিয়ামে সংগঠন করতে পারবে ইস্টবেঙ্গল।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.