কলকাতা,২৪ ডিসেম্বর:- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিনের সমাবর্তন ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, পুনরায় বিকেলে রাজ্যপাল সে ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, যা হল তা বেআইনি, অসাংবিধানিক। আচার্যের অধিকার বা এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করা হল। এটা আমাকে পীড়া দিচ্ছে। সবটাই হচ্ছে দূর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। এতে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার অতি দ্রুত ক্ষয় হচ্ছে।রাজ্যপাল বলেন, বুলেটের চেয়েও শিক্ষাব্যবস্থাকে পঙ্গু করে একটা জাতির বেশি সর্বনাশ করা যায়। আমি রাজ্যে সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এর আগেও রাজ্য নিয়ন্ত্রিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্যকে এড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতা এবং
যাদবপুরের উপাচার্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবের মাধ্যমে আমাকে চিঠি পাঠাচ্ছেন। বন্ধুরা, আপনারা ভাবতে পারেন আচার্যর সঙ্গে উপাচার্যের কথাবার্তা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের মাধ্যমে? এ রকম কখনও শুনিনি। এটা খুব লজ্জার। রাজ্যপাল বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমি দুটি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। আগামী ১৩ জানুয়ারি রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ডেকে পাঠাচ্ছি। তাতে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষাদফতরের প্রধান সচিবকেও ডেকে পাঠাচ্ছি। আমি বুঝতে চাই সমস্যাটা কোথায়?এ ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রীকে আবার বলছি, বিষয়টা সামগ্রিকভাবে অনুধাবন করুন। আমি ওঁকে চিঠি দিচ্ছি এক পক্ষকালের মধ্যে ওনার সুবিধামত আমার সঙ্গে বসুন। আলোচনা করুন। আগেও ওঁকে এই অনুরোধ করেছি। রাজ্যপাল সাংবাদিকদের হাত জোড় করে বলেন, “আমি যদি রাজভবনে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ করি, আমাকে দেখতে হবে ওঁদের যেন কোনও অমর্যাদা না হয়। কিন্তু আজ আমি যাদবপুরে এসেছি উপাচার্যের আমন্ত্রণে। তিনি আমার সম্মানরক্ষার কোনও চেষ্টা করলেন না।