হাওড়া,১৩ ডিসেম্বর:- হাওড়ার শিবপুর ফেরিঘাট বর্তমানে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। জেটির পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। যে কোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ যাত্রীরা। যারা প্রতিদিন ফেরি পারাপার করেন তারা একপ্রকার প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই এখানে যাতায়াত করেন। এখানে স্নানের ঘাট ব্যবহার করেন যারা তারাও প্রতিনিয়ত বিপদের সম্মুখীন হন। এই জেটিতে প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ। জানা গেছে বানের কারণেই জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বানের চাপে জেটি দুলতে থাকায় গ্যাংওয়ের চেনগুলি সরে যাওয়ায় জেটি থেকে বিয়ারিং সরে গেছে বলে জানা গেছে বলে অভিযোগ। পরবর্তী ক্ষেত্রে বান এলে ফের জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জেটি কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় থানাতেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কালিপুজোর সময় বানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাওড়ার শিবপুর জেটি।
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা দেবু মাইতি জানিয়েছেন জেটির চেন, বিয়ারিং চুরি হয়ে গিয়েছে। স্নান ঘাটের সমস্যা আছে। স্নান ঘাট ভেঙে যাওয়ায় স্নান করতে অসুবিধা হয়। রাতে যারা আসেন তারাও অসুবিধায় পড়েন। এখানে একটা গর্ত আছে। ঘাটটা বসে গিয়েছে। কিছুদিন আগে চারজন শ্মশানযাত্রী ডুবে যাচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে। স্থানীয় যাত্রী স্বপন বিশ্বাস জানিয়েছেন, এখানে জেটিটা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। আমরা আতঙ্কিত। আচমকা বান এলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। অফিস টাইমে প্রচন্ড ভীড় হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে এই ব্যাপারটা সরকারের দেখা উচিৎ। সৌরভ দালাল জানিয়েছেন, গঙ্গায় বানের কারনে এটা হয়েছে। বানের প্রচন্ড চাপে জেটি দুলতে থাকে। জেটিতে চেন না থাকার কারনে বিয়ারিং সরে গিয়েছে বলে মনে হয়। এটা বিপজ্জনক। পরবর্তী বান এলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ব্যাপারটা থানা জানে। কিছুদিন আগে থানা এসে দেখে গিয়েছে। গত কালিপুজোর সময় যে শক্তিশালী বান এসেছিল তার প্রভাবেই জেটির এই মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে, হাওড়ার ডিসি ট্রাফিক অর্ণব বিশ্বাস জানান, আমরা খবর পেয়ে জেলাশাসককে জানিয়েছি যাতে জেটিটি সংশ্লিষ্ট দফতরকে দিয়ে তাড়াতাড়ি মেরামতি করা যায়। এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য হাওড়ার জেলাশাসককে আমরা চিঠি দিয়েছি। আমরা ওয়েস্টবেঙ্গল ইনফাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের কাছেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।