কোচবিহার,৮ ডিসেম্বর:- শুরুটা ভালো হলেও খুব কম সময়ের মধ্যেই বদলে গেল ভারতীয় জনতা পার্টির কোচবিহার জেলা কার্যালয়ের চিত্র। রবিবার দলের পুনঃনির্বাচিত জেলা সভানেত্রী মালতী রাভাকে সংবর্ধনা দাওয়া হয় বিভিন্ন মণ্ডল কমিটির পক্ষ থেকে। হাসিহাসি মুখের সেই ছবিও সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপও পোস্ট করা হয়। কিন্তু এরপরে ওই কার্যালয় এলাকাই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সে খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় সংবাদ মধ্যমের এক প্রতিনিধি। অভিযোগ, বিজেপির অভ্যন্তরিণ এই গোলমালের জেরে আক্রন্ত হয়েছে বেশ কিছু পথ চলতি সাধারণ মানুষও। বিজেপি কার্যালয়ে এধরনের গোলমালের ঘটনা এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিক বার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। নিশীথ প্রামাণিক লোকসভা কেন্দ্রের প্রথী ঘোষণার দিনও একই ঘটনা ঘটে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে। এরপরও একাধিকবার দলের গোষ্ঠী দন্দের নগ্ন চেহারা সামনে আসে। কিন্তু এবারে দলের ভিতরে বিধ্বংসী রূপ যেভাবে বাইরে বেড়িয়ে এলো তা অত্যন্ত লজ্জা জনক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জানা গেছে, এদিনের বিজেপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একদল বিক্ষুব্ধ কর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে চাইলে, ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীর কর্মীরা তাঁদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লাঠি নিয়ে তেরে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধরা পিছু হটে। ঘটনায় বেশ কিছু সাধারণ পথ চলতি মানুষও আক্রান্ত হয়। যাদের মধ্যে দিনহাটা নিগমনগর এলাকার মিঠুন বর্মণ নামে এক যুবক বিজেপি কর্মীদের হাতে নিগৃহীত হয় বলে অভিযোগ। একই সাথে একটি বাংলা চ্যানেলের কোচবিহার জেলার চিত্র সাংবাদিক শুভ সাহা বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়। তার মোবাইল কেঁড়ে নিয়ে সংবাদের জন্য তোলা তথ্য মুছে ফেলা হয়।
এই বিষয়ে কোচবিহার প্রেস ক্লবের সম্পাদক সুমন কল্যাণ ভদ্র বলেন, আজকের এই ঘটনা নিন্দনীয় অপরাধ, এই ঘটনার পূনাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী করে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব। সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আমরা এর আগেও বিজেপি সভানেত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন এধরনের কোন ঘটনা কোনদিনও ঘটবে না। অথচ বিজেপি নেতৃত্বের সামনে এদিন যে ঘটনা ঘটল তা লজ্জার। আমরা তাকে ধিক্কার জানাই। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলার বিজেপি সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, বেশ কিছু বহিষ্কৃত বিজেপি কর্মী তৃণমূলের মদতে এদিন দলীয় কার্যালয় আক্রমণ করতে এসেছিল তাঁদেরকে দলের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করলে তাঁরা পিছু হটে। দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ বিজেপির সংস্কৃতি নয় গোটা ঘটনার সাথে তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলে দাবী করেন সঞ্জয় বাবু।