এই মুহূর্তে জেলা

স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর যাব্বজীবন ঘোষনা আদালতের।


এক বছর চার মাসের মধ্যেই অাসামীর সাজা ঘোষনা করলো আদালত ।স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে স্বামীকে সাজা ঘোষনা করলো শ্রীরামপুর অাদালত।প্রসংগত ২০১৮ সালে জুলাই মাসে বাপের বাড়িতে খুন হয়েছিলেন কোন্নগরের বাসিন্দা শুভলগ্না চক্রবর্তী। মামলার সরকারি আইনজীবী অরুণকুমার আগরওয়াল বলেন অত্যন্ত নৃশংস ভাবে ওই যুবতীকে খুন করেছি‌ল তার স্বামী । কোন্নগরের করাতিপাড়ার বাসিন্দা শেখ সুলতা‌ন আলি।কয়েক বছর আগে শুভলগ্নার সঙ্গে সুলতানের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়।তাদের রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হলেও সামাজিক মতে বিয়ে হয়নি।কিন্তু এই বিবাহের সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। সুলতানের প্রতি তিতবিরক্ত শুভলগ্না ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন।কিন্তু সুলতান‌ অবশ্য শুভলগ্নাকে ছাড়তে চাননি। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা চলছিল দু’পক্ষ থেকেই। একটা সময়ে থানা-পুলিশও হয়। শুভলগ্না শেষ মেষ ডিভোর্স চেয়ে মামলা করে। এদিকে সুলতান চায়নি তাদের ডিভোর্স হোক।পুলিশ সুত্রে খবর গত ২০১৮ র ১২ জুলাই সন্ধ্যায় বাবা-মায়ের সঙ্গে কাছেই একটি জায়গা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন শুভলগ্না। তাঁদের বাড়ির কাছে হাইস্কুল সংলগ্ন পার্কের ঝোপে লুকিয়ে ছিল সুলতান। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়িতে ঢুকতেই শুভলগ্নাদের উপরে সে চড়াও হয়। তুষারবাবুকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় সুলতান। তার পরে সঙ্গে থাকা সেভেন এমএম পিস্তল থেকে শুভলগ্নাকে গুলি করে। শুভলগ্নার পিঠে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই শুভলগ্নার মৃত্যু হয়।বাধা দিতে গেলে ঘটনায় আহত হয় শুভলগ্নার বাবা ও মা।
সুলতানের বিরুদ্ধে ৩০২/৩০৭/২৫/২৮ অস্ত্র আইন মামলা রুজু করে পুলিশ।সেই খুনের ঘটনায় বুধবার সুলতা‌নকে দোষী সাব্যস্ত করল শ্রীরামপুর আদালত।বৃহস্পতিবার ওই আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মহানন্দ দাস সাজা ঘোষণা করেন।সুলতানের যাব্বজীবন ছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ বছর জেল হলো।অাদালত থেকে বেড়িয়ে সুলতান বলেন বিচারকের রায়ই মাথা পেতে নিলাম।