হুগলি, ৭ মার্চ:- রাত বারোটা থেকেই খুলে দেওয়া হয় মন্দির। মহিলা থেকে পুরুষেরা দণ্ডি কেটে গঙ্গা থেকে দেড় কিমি পথ পেড়িয়ে শ্রীরামপুর চাতরার শীতলা মা কে জল ঢেলে পুজো দিচ্ছেন ভক্তকুল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার অষ্টমী তিথিতে দিনভর শতাব্দী প্রাচীন শীতলা পুজোকে ঘিরে ভক্তদের ঢল নামল। শীতলা মন্দিরে কাতারে কাতারে মানুষের ভির জমতে থাকে। মন্দির চত্বরে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল জোড়দার। এবারে পুজো কে ঘিরে মানুষের মধ্যে উন্মদনা ছিল যথেষ্ঠ। পুজো কে ঘিরে মন্দিরের চারপাশে জমজমাট মেলা শুরু হতেই উৎসাহ বেড়েছে দোকানীদের মধ্যে। পুজো কমিটি জানিয়েছে বুধবার ষষ্ঠী তিথির মধ্যে দিয়ে শীতলা পুজোর সূচনা হয়। ষষ্ঠী তিথিতে শীতলা পুজোর সূচনা হয়। দশমীর দিন পুজো শেষে মায়ের বিসর্জন হলেও সারা বছর মন্দিরে মায়ের নিত্য পুজো হয়। অষ্টমী তিথিতে মায়ের বিগ্রহে জল ঢালা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ধর্মীয় ভাবাবেগ রয়েছে।
অষ্টমীর দিন জন্য এ দিন সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়ে জল ঢালেন নারী পুরুষেরা। ওই সময় মন্দির ছাপিয়ে জিটি রোড জুরে প্রায় এক কিমি রাস্তা জুরে জল ঢালার ভিড় থাকে। পুলিশ প্রশাসন রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে আইন শৃঙখলা রক্ষার জন্য মন্দির কমিটির অফিসে পুলিশের শিবির করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা পুলিশ সেখানে মোতায়েন করা হচ্ছে। লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এ দিন শেওড়াফুলি থেকে পুজো দিতে এসেছিলেন নমিতা গুহ।তিনি বলেন, দুবছর মায়ের পুজো থমকে ছিল। এখন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। তাই পুজো দিতে এসেছি। চাঁপদানী কেন্দ্রের বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, পাঁচশো বছরের প্রাচীন শীতলা মায়ের পুজোকে ঘিরে মানুষের অনেক ভাবাবেগ রয়েছে। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো কে ঘিরে লাখো লাখো মানুষের জমায়েত হয়।