হুগলি, ৩ আগস্ট:- আজ চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে হুগলি জেলা, আইএনটিটিইউসির রক্তদান শিবির ও সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে উপস্থিত হন শ্রীরামপুরের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রমিক আন্দোলন কি তা বোঝাতে গিয়ে সংসদ বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন মানে এই নয় যে কোন শ্রমিকের ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনা করার জায়গা। ট্রেড ইউনিয়ন মানেটাই হচ্ছে সামগ্রিকভাবে সমস্ত শ্রমিকের জন্য চিন্তাভাবনা করা। আজকের দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কনসেপ্ট নিয়ে এসেছেন আজকে যে শিল্পের কথাটা ভাবতে হবে। সবকিছুকে সামঞ্জস্য করে চলতে হবে। সেক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক এবং নেতাদের অসম্ভব ভালো ভূমিকা থাকে। আমি তো বোধহয় ১৯৮১ সাল থেকে এই পেশায় আসার পর ৩০-৩৫ বছর এত বেশি শ্রমিকদের মামলা করেছি খুব কমই আছে আমার মত। এরপরই বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর হয়ে মামলা করার কথা বলেন।
কল্যাণ বলেন, বামফ্রন্ট যখন ক্ষমতায় তখন সিআইটিইউ আমাকে দিয়ে মামলা করিয়েছে।শ্রমিকের জন্য চিরকালই আমার আইনি লড়াই রয়েছে। কিন্তু তবু আমি বলব ব্যক্তিগত চাওয়ার থেকে সমষ্টিগত চাওয়াটাই ট্রেড ইউনিয়নের কাজ। আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের বিরোধীতা করে হুগলি জেলা সিটুর সম্পাদক তীর্থঙ্কর রায় বলেন, উনি যারা বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত তাদের হয়ে মামলা করেন। যে সমস্ত মালিকরা শ্রমিকদের শোষণ করে তাদের বাঁচানোর জন্য মামলা করেন। আর আমরা হচ্ছি শ্রমিকদের স্বার্থে, দুর্নীতি যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে, অতএব উনি আমাদের হয়ে কি করে মামলা করবেন। উনি আমাদের হয়ে কোন মামলা করেননি। কারণ উনি এক একটা মামলার জন্য যে টাকা নেন সিটুর তা দেওয়া ক্ষমতাও নেই।সিটু মামলা থেকেও রাস্তার লড়াই বিশ্বাস করে বেশি।