কোচবিহার,১০ এপ্রিল:- করোনা ভাইরাস রোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছে প্রতিটি দেশ। এর প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞানীরা দিন রাত কাজ করছেন। এর মাঝে দেশজুড়ে একের পর এক গুজব রটছে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে। কোথাও গোমুত্র পান, কোথাও রাত জেগে থানকুনি পাতা খাওয়া। আর কোথাও তুলসি পাতা খাওয়া চলছে। তাতেও কিছু না হওয়ায় দেশে জারি করা হয়েছে লক ডাউন। এই লক ডাউনের বাড়ির বাহিরে বের হওয়া নিষোজ্ঞায় জারি করেছে সরকার। কিন্তু কিছু ছেলে ছোকরারা কোথায় কোন সেলুনে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ? করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে এবার গত দুইদিন ধরে দিনহাটার সিতাই, গোসানিমারি, ফকিরটারি, ওকড়াবাড়ি,বাসন্তীরহাট,ভেটাগুড়ি,পুঁটিমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বালাকুড়া,কোয়ালী দহ সহ বেশ কিছু এলাকায় মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়েচে। বহু মানুষ এরই মধ্যে নিজেদের মাথা ন্যাড়া করেছেন। সেই ন্যাড়া মাথার ছবি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা পোস্ট করছেন। সেই পোস্টে আবার অনেকে লিখেছেন করোনা হাত থেকে বাঁচাতে তারা তাদের মাথা ন্যাড়া করেছে। মনে হয় রীতিমত উৎসবের আমেজে তারা মাথা ন্যাড়া করচ্ছে।
প্রশাসনের বারবার নিষে্ধ করা সত্বেও কি করে সেলুনের দোকান খুলছে। কি ভাবে তারা ভিড় জমিয়ে দোকানের মধ্যে কাজ চালাচ্ছে তা নিয়ে উঠছে না প্রশ্ন ? কিন্তু লক ডাউনের মধ্যেও কিভাবে এত যুবক মাথা ন্যাড়া করছেন তা অবাক স্থানীয় প্রশাসন।
এবিষয়ে এক সেলুনের মালিক বলেন, লকডাউনের কারনে সংসার চালানই দায় হয়ে গেছে। তাই দোকান খুলেছে ঠিকই। কিন্তু দোকানের ভিতর একজনকে নিয়ে কাজ কর্ম সেরে নিয়ে তাঁকে বের করে দিয়ে অন্যজনকে ডাকি। সারা দিনে ৮-১০টা কাস্টমার হয়। সবাই এসেই বলে মাথা ন্যাড়া করব। বাদ্য হয়ে আমি পেটেরে দায়ে কাজটা করি।
এবিষয়ে বলাকুড়া গ্রামের এক যুবক মাথা ন্যাড়া করেন। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মাথায় অনেক চুল, শুতেছি করোনা ভাইরাস বাতাসের ভাসতে পরে। আমাদের নাক,মুখ সব বন্ধ থাকে। করোনা যদি চুলের মধ্যে আটকে যায়। সেই কারণে সে মাথা ন্যাড়া করেছে। এবিষয়ে দিনহাটার এক চিকিৎসক জানান,করোনা থেকে বাঁচতে মাথা ন্যাড়া করার এই বিষয়টি হাস্যকর।