হাওড়া, ৩০ সেপ্টেম্বর:- পুজোর সময় ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখাই পুলিশের কাছে বড়ো চ্যালেঞ্জ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধ্য হাওড়ার উত্তর খুরুট বারোয়ারী ক্লাব প্রাঙ্গণে পুজো উদ্বোধনে এসে ওই মন্তব্য করেন হাওড়ার সিটি পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, শুধু পুলিশ নয় অনেক ভলেন্টিয়ার্স , অনেক সাধারণ মানুষও পুলিশকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। এবারও ট্রাফিককে সাহায্য করার জন্য অনেকজন অস্থায়ী হোমগার্ড নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে এবং অন্যান্য রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য পুলিশ ফোর্সের মধ্যে থেকে অনেককেই ট্রাফিকে মোতায়েন করা হয়েছে। কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তাঁর জন্য কন্টেনার, ট্রেলার জাতীয় গাড়ি শহরে ঢোকায় নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গাড়ি চলাচল যাতে ঠিকভাবে হয় তারজন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সিভিক ভলেন্টিয়ার্স, টেম্পোরারি হোমগার্ড এবং রেগুলার ফোর্স মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার লোককে মোতায়েন করা হয়েছে। মালবাহী গাড়ি সারা দিন বন্ধ থাকে। হাওড়া এবং কলকাতার ভিড় দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোনও দিন ২টো, কোনও দিন ৩টে বা কোনও দিন ৪টে নাগাদ নিষেধ তুলে নেওয়া হয়। অষ্টমীর দিন কুমারী পুজোর জন্য মাত্র ৩ ঘন্টার জন্য মালবাহী গাড়ি ছাড়া হয়। এই সবই করা হয় যাতে দুর্ঘটনা না হয়। বেলুড় মঠে অষ্টমীর দিন কুমারী পুজোর দিন ছাড়াও অন্যান্য দিনেও ভিড় থাকে। সেই কারণে বেলুড় মঠে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। প্রতি শহরে পুজোর সময় ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখা পুলিশের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি দাবি করেন, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এই রাজ্যে দুর্ঘটনা কমেছে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ জিরোতে পৌঁছোতে পারা যায়নি। তারজন্য চেষ্টা চলছে।