এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়ায় “চায়ে পে চর্চা” কর্মসূচিতে এসে চায়ের দোকান, বাজার বন্ধ দেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দিলীপ ঘোষ।


 

হাওড়া,১৩ মার্চ :-  হাওড়ায় বিজেপির “চায়ে পে চর্চা” অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে উঠল। শুক্রবার সকালে মধ্য হাওড়ার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের দয়াল ব্যানার্জি লেনের আটের পল্লী’তে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে “চায়ে পে চর্চা”র আয়োজন করেছিল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু দীলিপবাবু যখন সেখানে এসে পৌঁছান তখন সেখানে দেখা যায় পাড়ার মোড়ে কোনও চায়ের দোকান খোলা নেই। বাজারও ছিল বন্ধ। এই নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। দীলিপবাবু অভিযোগ করেন আমাদের ভয় পেয়ে তৃণমূল আগে থেকে সমস্ত চায়ের দোকান, বাজার বন্ধ করে দিয়েছে। পাড়ার মোড়ে মোড়ে বিজেপির ঝান্ডা খুলে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে ওঠে। উল্লেখ্য, এদিন বিজেপি মধ্য হাওড়া মণ্ডল-২ এর উদ্যোগে শুক্রবার সকালে “চায়ে পে চর্চা”র আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                       ছিলেন জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা, মন্ডল সভাপতি শিবশঙ্কর সাধুখাঁ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দিলীপবাবু প্রথমেই এসে পৌঁছান নরসিংহ দত্ত রোডের বিজয়ানন্দ পার্কে (ধাপার মাঠ)। সেখানে তিনি বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। প্রাতঃভ্রমণ করেন। সেখানে প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে মিলিত হন। কথাবার্তা বলেন। পার্কের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এখান থেকে দিলীপবাবু সোজা চলে আসেন হাওড়ায় তাঁর দ্বিতীয় কর্মসূচিতে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের দয়াল ব্যানার্জি লেনে ৮ এর পল্লি’তে তিনি আসেন “চায়ে পে চর্চা”য় যোগ দিতে। বিজেপির অভিযোগ, সেখানে আগেভাগেই সব চায়ের দোকান বন্ধ করে রাখা হয়। বিজেপির দলীয় পতাকা খুলে রাতেই সেখানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পতাকা। অগত্যা এক বাড়ি থেকে চা এনে দিলীপবাবুকে দেওয়া হয়। রাস্তার উপরেই তিনি চায়ে চুমুক দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল আমাদের যে কত ভয় পায় তার প্রমাণ আজকের ঘটনা। এখানে “চায়ে পে চর্চা’ অনুষ্ঠান হবে তাই আগে থেকেই চায়ের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে এরা কষ্ট দিচ্ছে। আমি এসেছি মানুষের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের সঙ্গে চা খেতে। কিন্তু তা বলে এলাকায় কোনও চায়ের দোকান খুলবে না ? এটা কি ধরনের রাজনীতি ? এত ভয় কেন ? যারা মানুষকে ভয় করে তাদের রাজনীতি করাই উচিত নয়।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                            আমাদের চেয়ে ওদের ঝান্ডা বেশি। ভালো লাগল ওরা আমায় স্বাগত জানানোর জন্য ঝান্ডা লাগিয়েছে। অন্তত বছরে একবার বেরিয়ে ঝান্ডা লাগাচ্ছে ওরা। কিন্তু দিলীপ ঘোষ আসছে বলে চায়ের দোকান খুলবে না, বাজার খুলবে না এ রাজ্যে এ ধরনের রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। ভয় দেখানো আর ভয় পাওয়া দুটোই বন্ধ হওয়া উচিত। গণতন্ত্রে কারো কোনও জমিদারি হয়না। সাধারণ মানুষের অধিকার সুরক্ষিত করতে আমি এখানে এসেছি।’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্নে যাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, ‘ওনার সঙ্গে পুরানো সম্পর্ক উনি যেতেই পারেন। এই প্রথমবার যাচ্ছেন নাকি। এতে বিজেপির কোনও অস্বস্তি নেই। বিজেপির মুখ বিজেপিই আছে।আর কেউ নয়। যে কাজ করবে পার্টিতে সেই মুখ হয়ে যাবে।’ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে যারা এসেছে তাদের ভয়। সকলে সাবধানে থাকুন। সতর্ক থাকুন। কিছু হবে না।’ কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এর আগেও বিজেপি লড়াই করে লোকসভায় ১৮টা আসন জিতেছে। এবারও লড়াই করে বিজেপি জিতবে।’

There is no slider selected or the slider was deleted.