সুদীপ দাস, ৩ ডিসেম্বর:- হুগলী মহসীন কলেজের বহু পুরাতন ছাত্রাবাস। কলেজ থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনের উল্টোদিকেই রয়েছে কানাইলাল দত্ত নামাঙ্কিত এই ছাত্রাবাস। সমাজের বহু গুন্যমান্য ব্যাক্তি এই ছাত্রাবাসে থেকে মহসীন কলেজে পাঠরত ছিলেন। ভিন জেলা কিংবা ভিন রাজ্য থেকে মহসীন কলেজে পড়তে এলে আবেদনের বিচারে বিনামূল্যে এই সরকারী ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ পাওয়া যায়। পুরো ছাত্রাবাসটির রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্যের পূর্ত দপ্তর। বর্তমানে মেরামতির কাজ করছে তারা। কিন্তু কোভিড আবহের পর কলেজ চালু হতেই ছাত্রাবাসে শুরু হয়েছে এক অন্য সমস্যা। সেই সমস্যার মধ্যে পরে ছাত্রদের নিজেদেরকেই নিজেদের রান্না করে খেতে হচ্ছে। কারন ছাত্রাবাসে থাকা সরকারী রন্ধন কর্মীরা অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন। এতদিন পর্যন্ত এখানে ছাত্রদের শুধু নিজেদের পয়সায় নিজেদের মত বাজার করে আনলেই হেঁসেলে রান্না তৈরী হয়ে যেত।
এই ছাত্রাবাসে নিজেদের বাজার খরচ ছাড়া সবকিছুর দায়ভার বহন করতো সরকার। কিন্তু ছাত্রাবাসের একজন ছাড়া বাকি সকলেই সরকারী নিয়ম মেনে অবসরগ্রহন করায় হেঁসেল ফাঁকা। ফলে নিজেদেরকেই রান্না করে খেতে হচ্ছে। কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্ররা রান্নাই জানে না। তাই তাঁদেরকে অধিক খরচে বাইরের খাবার খেতে হচ্ছে। এই ছাত্রাবাসে ৫০জনের বেশী ছাত্রের থাকার ব্যাবস্থা রয়েছে। তবে কোভিডের পর কলেজ খোলায় বর্তমানে কমবেশী ২০জনের মত ছাত্র রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য এবিষয়ে তাঁদেরকে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে নতুন করে আর কোন রন্ধন কর্মী নিয়োগ হবে না। আগামী দিনে এখানের হেঁসেল বেসরকারী বরাতদারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ফলে সেখান থেকেই অধিক খরচায় খাবার কিনে খেতে হবে। তাই তাঁরা চায় সরকার অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করুক। অন্যদিকে এবিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ পুরুষত্তম প্রামানিক বলেন ওই ছাত্রাবাসের রন্ধন কর্মীদের পদে পুনঃনিয়োগ হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। খাওয়া নিয়ে ছাত্রদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ঠিকই তবে সরকারী হোস্টেলে সরকারী সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের কিছু করার নেই।