আরামবাগ, ১৮ নভেম্বর:- স্পোর্টস সু ছাড়াই ফুটবল প্রতিযোগিতা হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমায়। এখনও ভারতীয় ফুটবল কতটা পিছিয়ে তারই ছবি আর একবার ধরা পড়লো আরামবাগে। এটা কোনও ক্লাব বা স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা নয়, সম্পুর্ন ভাবে আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে ফুটবল প্রতিযোগিতা। এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? প্রায় ১৩৫ কোটির দেশ আমাদের ভারতবর্ষ। ফুটবলে কতটা পিছিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বের কত ছোট ছোট দেশ ফুটবল খেলছে বিশ্বের বড়ো বড়ো প্রতিযোগিতায়।এমন কি বিশ্বকাপের মতো আসরেও খেলছে মুল পর্বে।সেখানে আমরা কতটা পিছিয়ে রয়েছি তা সবাই জানে। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কি তা নিয়ে বহু আলোচনা হলেও তার সমাধানের কোনও চেষ্টাই যে নেই প্রশাসনের তা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো আরামবাগ প্রশাসন। ১০০ বছর পিছিয়ে গিয়ে খালি পায়েই প্রশাসনিক পর্যায়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। স্পোর্টস সু ছাড়াই চলো মহকুমা পর্যায়ের ফুটবল প্রতিযোগিতা। ফুটবল বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবী
পরিকাঠামোর অভাবের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্তাদের সদইচ্ছার অভাবেও ফুটবল প্রতিভা পিছিয়ে পড়ছে। সামান্য স্পোর্টস সু দিয়ে ফুটবলারদের খেলানো কি যেত না।কত খরচ হতো।সরকার যেখানে খেলার উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে ফুটবলে এই রখম অবস্থা কেন। প্রশ্ন তুলছে স্থানীয় মানুষ। এদিন আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে এক দিবসিও ফুটবল প্রতিযোগিতা হয় আরামবাগ জুবিলি পার্ক ময়দানে। চলো খেলি নাম তুলি…স্লোগানকে সামনে রেখে এই ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়। এই মহকুমার ছয়টি ব্লকই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে। খানাকুল এক ও দুই নম্বর ব্লক, গোঘাট এক ও দুই নম্বর ব্লক, আরামবাগ, পুড়শুড়া ব্লক খেলায় অংশ গ্রহন করে।এই খেলায় উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনে আধিকারিক থেকে শুরু করে ব্লক পর্যায়ের আধিকারিক ও পৌরসভার আধিকারিক ও প্রশাসক স্বপন নন্দী। এই বিষয়ে আরামবাগ পৌরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে ফুটবল প্রতিযোগিতা হচ্ছে। অন্যদিকে আরামবাগ মহকুমা স্পোর্টস কমিটির সম্পাদক নয়ন তরফদার জানান,
চলো খেলি নাম তুলি স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আঠারো বছরের উর্দ্ধে যারা আছেন তারা যাতে ভোটার তালিকায় নাম তোলেন সেই বিষয়ে উৎসাহিত করার জন্যই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আরামবাগের জুবিলি পার্ক মাঠে এই ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকার মানুষের উৎসাহ ছিলো বেশ চোখে পড়ার মতোন। অপরদিকে আরামবাগ ব্লকের জয়েন বিডিও অয়ন রক্ষিত বলেন, এটা একটা ভালো উদ্যোগ।আঠারো বছর হলেই যাতে এলাকার মানুষ ভোটার তালিকায় নাম তোলে সেই বিষয়েও সচেতন করা হচ্ছে। স্পোর্টস সুর ব্যবস্থা আমরা করছি। এই রখম নির্দেশ থাকায় এইবার খেলা হচ্ছে। পরেরবার আমরা আরও ভালো কিছু যাতে দিতে পারি চেষ্টা করবো। এখন দেখার ফুটবল প্রতিভার খোঁজে এবং পরিকাঠামোর উন্নয়নে কি ব্যবস্থা নেয়।