পূর্ব বর্ধমান, ৩ নভেম্বর:- মন্তেশ্বর ব্লকের একটি অন্যতম হল পূর্ব খরমপুর গ্রামের প্রায় ৫০০ বছরের ভুসোকালি পুজো। গ্রামের বর্ষিয়ান ব্যক্তি চিত্তরঞ্জন কুন্ডু জানান, গ্রামের একমাত্র প্রতিমা পুজো এটিই। অন্য কোন পুজোতেই প্রতিমা আসায় মানা রয়েছে। গ্রামে কোন দোতলা বাড়ি তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নেই ছাদে ওঠার কোনো সিঁড়িও। চিত্তবাবু জানান, কথিত আছে কয়েকশ’ বছরের প্রাচীন এই ঠাকুর। গ্রামের পুরোহিত যামিনী বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপ্নাদেশ পেয়ে মাটির ঘরে ছোট আকৃতির কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ক্রমে ক্রমে গ্রামবাসীদের উৎসাহে সেই মাটির ঘর আজ পাকা মন্দিরে পরিণত হয়েছে। ঠাকুরের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় কুড়ি ফুট। ঠাকুর তৈরীর মিস্ত্রির বাজার থেকে কোন কেনা রঙে ঠাকুরের রং হয় না।
পুজোর দিন অমাবস্যা পড়লে তিনটি বড় বড় প্রদীপে সরষের তেল ঢালা হয় মাথায় রাখা হয় বড় সরা, ওই প্রদীপের ভুসো সরাই পড়ার পর তা সংগ্রহ করে ঠাকুরের মূর্তি তে লাগানো হয়। প্রয়োজন মতো ভুসো সংগ্রহ তে অনেক সময় ভোর হয়ে গেছে। তারপর এই পুজো শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। মন্তেশ্বর ব্লকের কুসুম গ্রাম অঞ্চলের পুর্ব খরমপুরের এটাই গ্রামের এক মাত্র প্রতিমাপূজা। পূর্ব খরমপুরে দূর্গাপূজা থেকে, সরস্বতী, লক্ষী ,বিশ্বকর্মা, এমনকি বাড়িতে কার্তিক ঠাকুরের কোন পূজার কোন প্রতিমা হয় না। এই ভুসাকালী পূজাতে গ্রামে আত্মীয়-স্বজন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে পূজার দিন ভিড় করে গ্রামে। গ্রামের মানুষজন ও ঠাকুর তৈরির মিস্ত্রি আমাদের কি জানালেন দেখুন।