ব্যারাকপুর , ২৯ ডিসেম্বর:- এবার কালীঘাটের হরিশ চন্দ্র স্ট্রিটে পদ্ম ফোটানোর হুঙ্কার দিলেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সন্ধেতে খড়দহ থানার সন্নিকটে লিচুবাগান মোড়ে এক সভায় জননেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের বাড়িতেও পদ্ম ফোটানোর কথা বললেন। এদিন তিনি দাবি করলেন,কাটমানি, সিন্ডিকেটরাজ সাফ করে বুয়া-ভাতিজা রাজ শেষ করবো। এদিন শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি ছিল,বিজেপি ক্ষমতায় এলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সেই ক্যাসেটগুলো চালানো হবে।তারপর নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র প্রয়োগ করা হবে। জননেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন জোরের সঙ্গে দাবি করলেন, পিসি-ভাইপোর সরকারের এখন বিদায় রজনী। তৃণমূল এখন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। আর তাদেরকে কোম্পানির কর্মচারী করে দেওয়া হয়েছিল। এদিনের সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন,নিষ্ঠুর মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বাংলার জনতা আজ অত্যাচারিত। ওষুধ যেমন এক্সপেয়ারী হয়ে যায়, তেমনি পিসি-ভাইপোর সরকারের এক্সপেয়ারি ডেট হয়ে গিয়েছে। সাংসদ অর্জুন সিং বলেন,ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অত্যাচার চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। পুলিশের কিছু অংশ যারা ভাবছেন তৃনমূল সরকার আসবে না।
তাদের উদ্দেশ্যে বলি,চোখ খুলে চারিদিকে তাকান,দেখবেন বিজেপি সরকার আসছে। সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, তৃনমূলের জনসভায় ভিড় হচ্ছে না। তাই সিভিক পুলিশদের সাদা টি-শার্ট পরিয়ে জনসভায় পাঠানো হচ্ছে। এদিনের সভায় বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন,বাংলার বালি,কয়লা চোর হল ভাইপো। এই সরকারকে ছুঁড়ে সমুদ্রে ফেলে দিন। চোর ভাইপোর বাংলা মানুষ পছন্দ করে না। এদিন জননেতা শুভেন্দু অধিকারী,সাংসদ অর্জুন সিং,মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও সৌমিত্র খাঁ-র নেতৃত্বে টিটাগড় ব্রহ্মস্থান থেকে মহামিছিল শুরু হয়ে বিটি রোড ধরে খড়দহ থানার কাছে যেখানে জনসভা হচ্ছিল সেখানে এসে মিছিল শেষ হয়। এদিন মহামিছিল কার্যত জনপ্লাবনের আকার নিয়েছিল। উল্লেখ্য,গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে খড়দহ থানায় দলীয় কর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে মহামিছিল ও জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়,
জননেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ অর্জুন সিং, রাজ্য যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ ছাড়াও এদিন প্রতিবাদী মিছিল ও সভায় হাজির ছিলেন। তাছাড়া কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি কিশোর কর,সাধারণ সম্পাদক কিশোর কর,জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু দাস,ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি রবীন ভট্টাচার্য,প্রাক্তন জেলা সভাপতি উমা শঙ্কর সিং, যুব মোর্চা সভাপতি সাগর রায়,রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র,বিধায়ক সুনীল সিং,পবন কুমার সিং, বিশ্বজিৎ দাস, সব্যসাচী দত্ত, শীলভদ্র দত্ত ও শুভ্রাংশু রায়, ভাটপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌরভ সিং,যুব নেতা শঙ্কু দেব পান্ডা,শ্রমিক নেতা রজত মৈত্র-সহ অন্যান্য কার্যকর্তারা হাজির ছিলেন। এদিনের মিছিলে স্লোগান উঠল, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে।