কোচবিহার , ১৭ ডিসেম্বর:- কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটা কলেজ চত্বর। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দিনহাটা থানার পুলিশ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে কলেজ চত্বরের পরিবেশ স্বাভাবিক হয়। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিনহাটা কলেজে স্নাতক স্তরে পরীক্ষা চলছিল। সেই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অজয় রায় অনুগামী ছাত্রদের সঙ্গে জয়দীপ ঘোষ গোষ্ঠীর অনুগামী ছাত্রদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। বেশ কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীর পরীক্ষার খাতা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে এক বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে। পরে পুলিশের প্রহরায় পরীক্ষা শুরু হয়।
এবিষয়ে অজয় রায়ের অনুগামী ছাত্রনেতা আমির আলম বলেন, এদিন মাঠে পরীক্ষা চলছিল। সেই সময় জয়দেব ঘোষের অনুগত একদল বহিরাগত ছাত্র মাঠে প্রবেশ করে এবং তারা বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীর খাতা কেড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে। এই ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এর প্রতিবাদ করতে এলে ওরা আমাদের উপর চড়াও হয়। অপরদিকে জয়দীপ ঘোষ অনুগামী এক ছাত্রদের অভিযোগ, অজয় রায়ের অনুগামী বহিরাগতরা দিনহাটা কলেজ চত্বরে এসে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করে। এর ফলেই পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তারাই পাশের দুই ছাত্রের খাতা ছিড়ে ফেলে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। এবিষয়ে দিনহাটা কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌস ইসলাম বলেন, কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের খাতা কেড়ে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। এদিন যথারীতি পরীক্ষা চলেছে। প্রসঙ্গত, দিনহাটা কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বেশ কয়েক বছর ধরেই চলে এসেছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে কলেজের এক ছাত্র খুন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার শহরের এসেই যখন বার্তা দিয়ে গিয়েছেন, এরপরেও দিনহাটা কলেজের এই ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা কথার কথাই থেকে গিয়েছে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।