জলপাইগুড়ি , ১৫ ডিসেম্বর:- নাম না করে শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন তৃণমূলে থেকে সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে এখন অন্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিরোধিতা করছে। এই ‘বাঁদরামি’ মানা হবে না। পাশাপাশি, এদিন ফের বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির একটি জনসভায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই এদিন তিনি দলের বিক্ষুব্ধ নেতা-মন্ত্রীদের ওপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।এদিনের সভা থেকে তিনি বলেন, “১০ বছর সরকারের সঙ্গে থেকে সব সুবিধা নিয়ে এখন ভোটের আগে এর ওর সঙ্গে বৈঠক করছে বিরোধিতা করছে। ভোটের আগে বোঝাপড়া করে বিরোধিতা করছে। এই রকম বাঁদরামি বরদাস্ত করব না।” বেশ কয়েকদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারী সহ কিছু নেতা-মন্ত্রী প্রকাশ্যে দলের বিরোধিতা করছেন। একাধিক ইস্যুতে কটাক্ষ করছেন। অন্যদিকে এদিন হলদিয়ার সভা থেকে নাম না করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এমনকি ১৯ তারিখ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার খবরও আসে। আর তার ফলে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভা থেকে তাঁর স্পষ্ট বার্তা গেল দলের বিক্ষুব্ধ নেতা মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, এদিন তিনি বলেন, “বাংলায় বহিরাগত এলে দেখে নেবেন। বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না? আঘাত হলে প্রত্যাঘাত হবেই। বহিরাগত এনে বাংলায় অশান্তি করার চেষ্টা করে।”
পাশাপাশি নাম না করে মিমকে আক্রমণ করেন মমতা। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলায় এসে তাঁরা।লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে আসন পাইনি, বিধানসভা নির্বাচনে আশীর্বাদ চাই। উন্নয়ন করেও উত্তরবঙ্গে লোকসভায় ভোটে ভালো ফল হয়নি তৃণমূলের। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সব ঘাটতি মিটিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের আশীর্বাদ চান তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন জলপাইগুড়ির সভা থেকে কার্যত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুল করলে মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি এদিন ফের রাজ্যের ডিজিপি ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে পাঠানোর ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মমতা। তাঁর কথায়, “রাজ্য পুলিশকে ডেকে পাঠায় কেন কেন্দ্রীয় সরকার?”এরপরই তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “ক্ষমতা থাকলে রাষ্ট্রপতি শাসন করে দেখান। একবার পাল্টে দিয়ে দেখুক। তারপর উল্টাতে কিভাবে হয় আমারও জানি।” তিনি আরও বলেন, “পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান আমরাই করব। ভোট এলেই বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে। বিজেপির প্রতিশ্রুতি মানেই প্রতারণা।” এরপরই তিনি যোগ করেন, “যে ক্ষমতায় থাকে সে চেষ্টা করে কাজ করার। যে ক্ষমতায় থাকে না মিথ্যা কথা বলে। বাইরে থেকে এসে গন্ডগোল করে যায়। উত্তরবঙ্গের তৃণমূল একটা আসনও পায় নি। কি অন্যায় করেছে তৃণমূল? বিজেপি বাইরে থেকে এসে নিয়ে গেল। উন্নয়ন করেও লোকসভায় একটাও আসন পাইনি। বিধানসভায় চাই।”