কলকাতা , ৪ ডিসেম্বর:- এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এক নেতার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার৷ অমূল্য মাইতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন৷ তিনি দলে শুভেন্দু অনুগামী বলেই পরিচিত। শুভেন্দুর সঙ্গে দলের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার জেরেই এই ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রত্যাহার বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রত্যাহার করেছে রাজ্য প্রশাসন। এইভাবে শুভেন্দুর উপরে চাপ বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। অমূল্য মাইতি সবংয়ের দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা৷ দলের জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলে রয়েছেন তিনি৷ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এই নেতা, এলাকায় সাংসদ মানস ভুঁইয়ার বিরোধী গোষ্ঠী বলেই পরিচিত৷ অমূল্য মাইতি জানিয়েছেন, তাঁর দেহরক্ষীকে যে প্রত্যাহার করা হতে পারে, কয়েকদিন ধরেই সেই আঁচ পেয়েছিলেন তিনি৷
কয়েকদিন আগেই সবং-এর প্রাক্তন ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতির স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর বাড়িতে দেখা করতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ সেদিন পটাশপুর থেকে তেমাথানি পর্যন্ত শুভেন্দুকে এসকর্ট করে নিয়ে আসেন তাঁর অনুগামীরা৷ এর পরই শুভেন্দু অনুগামীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে মানস ভুঁইয়ার ঘনিষ্ঠ এক নেতার বিরুদ্ধে। এবার অমূল্য মাইতি’র ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রত্যাহার করা হল৷ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ আরও এক নেতা প্রণব বসুকে মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ এর পর জেলা পরিষদের সদস্যের পদ থেকে নিজেই ইস্তফা দেন তিনি৷ এমনকি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি সহ অন্যান্য নেতাদের দলের কোনও কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না৷ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতাদের অভিযোগ, জেলার দলীয় কর্মসূচিতেও তাঁদের ডাকা হচ্ছে না৷ দলের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব বাড়তেই তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদেরও কোণঠাসা করার চেষ্টা শুরু করা হয়েছে দলের তরফে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷