এই মুহূর্তে জেলা

সিসি ক্যামেরায় মুরে ফেলা হয়েছে চন্দননগর,ড্রোনে চলবে নজরদারী।

হুগলি, ২৫ অক্টোবর:- চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন উদ্দেশ্যে বলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোর পারমিশন বিদ্যুৎ সংযোগ সবকিছু পুলিশ করে। তাই কোন কিছুতেই বিভ্রান্ত হবেন না। যা কিছু করছে আমাদের প্রশাসন। বিভ্রান্ত হয়ে কোন ক্লাবকে কোন টাকা দেবেন না। টোল ফ্রি নাম্বারে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। তারা যাতে বিভ্রান্ত না হই আরো তিন চারটে নাকি এরকম ম্যাপ প্রকাশ হয়।যেগুলো সরকারি শিক্ষিত নয়। আমাদের ম্যাপটা কিন্তু সঠিক। অনেকেই ভুল করেন। মাথায় রাখবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আর ৫০ বছর কপিরাইট ছিল। তারপর ১০ বছর বাড়ানো হয়েছিল। তারপর উঠে যায় রচনাবলী বিভিন্ন জায়গা থেকেই প্রকাশিত হয়। যারা রবীন্দ্র রচনা পড়তে ভালোবাসেন তারা রবীন্দ্রভারতী পাবলিকেশনের লেখাই পড়েন। অন্য কোন প্রকাশনী সংস্থার নয়। তাই আপনাদের মাধ্যমে আমি অনুরোধ করছি। প্রশাসন থেকে যে ম্যাপ দেওয়া হয়েছে সেটাই ফলো করুন। কোনো ক্লাব কারো কথা এমনকি আমি এখানকার বিধায়ক আমার কথা আপনাদের শুনতে হবে না। এখানে পুলিশ কমিশনার চন্দননগরের মেয়র ডেপুটি মেয়র ভদ্রেশ্বরের চেয়ারম্যান সবাই মিলে কাজ করেন। যে কোন সমস্যা সরাসরি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ওরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছেন আপনাদের পাশে থাকবেন। কোন পৌর পিতা কোন পৌর মাতা কারো কথায় কোন এমআইসি কোন রাজনৈতিক নেতার কথা আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। মাথায় রাখবেন পুলিশ প্রশাসনের একটা অংশ। আমি চাই সবটাই সুষ্ঠুভাবে হোক। আলোর শহর চন্দননগর আরো আলোকিত হোক। প্রসঙ্গত গতকাল চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি একটি পুজো গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেছিল। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করার আগেই কেন্দ্রীয় কমিটি কেন প্রকাশ করল তা নিয়েই মূলত উষ্মা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

তার বক্তব্যে সেটাই উঠে এসেছে। চন্দননগর থানার সামনে চন্দননগর স্ট্যান্ডে বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হল জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপের। এদিন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, মেয়র রাম চক্রবর্তী প্রমুখ। একইসঙ্গে শিশুদের জন্যে ব্যাচ এবং ভলান্টিয়ার ব্যাচেরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, প্রতি বছর লাখ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হয় চন্দননগরে। শুধু জেলা নয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফেরিঘাট, রেল স্টেশন এবং সড়ক পথে বহু দর্শনার্থী আসবেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। শুধুমাত্র চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট নয়, বাইরের জেলা থেকে পুলিশ আনা হয়েছে।এবার গতবারের থেকে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সিসিটিভির সংখ্যা এ বছর আরও বাড়ানো হয়েছে। ৩০০ টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে শহর জুড়ে। তার জন্য আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা সেখানে নজরদারি চালাবে কমিশনারেটের আধিকারিকরা। মোতায়েন করা থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মী এবং মহিলা পুলিশ কর্মী। উইনার্স টিম, পিঙ্ক মোবাইল টিমের মহিলা পুলিশ কর্মীরা টহল দেবে। ষষ্ঠী থেকে শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দুপুর দুটো থেকে পরদিন সকাল ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী গাড়ি। শহরে ঢোকার মোট ৪৪টি জায়গায় নো এন্ট্রি থাকবে। চন্দননগরের নো এন্ট্রি শুরু হচ্ছে পঞ্চমী থেকে।দুপুর দুটো থেকে কবরে ঢোকার সব রাস্তায় নয় এন্টি থাকবে।