হুগলি, ৩১ আগস্ট:- এসএসসি মামলায় অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের পরই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।হুগলি জেলা থেকে নাম রয়েছে তিনজনের এমনটাই এখনো জানা গেছে।আর তিনজনই আরামবাগের বাসিন্দা বলেই জানা গেছে।এরমধ্যেই বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ভাবে নাম এসেছে তৃণমূল নেত্রী ও তার ভাইয়ের স্ত্রী এর। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় শুরু থেকেই শাসক দলের দিকে আঙুল তুলছে বিরোধীরা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নাম জড়ানোর পর থেকেই অভিযোগের সুর তীব্র হয়েছে। বিরোধী নেতারা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের নেতানেত্রীদের হাত ধরেই এই দুর্নীতির জাল বিস্তৃত হয়েছে। সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার প্রকাশিত হয়েছে অযোগ্য বা দাগি প্রার্থীদের তালিকা। তালিকায় একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসতেই বিরোধীরা আরও সুর চড়িয়েছে। কারণ, নতুন তালিকায় রয়েছে হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেত্রী সাহিনা সুলতানার নাম।
সাহিনা শুধুমাত্র সাধারণ নেত্রী নন, তিনি পরপর তিনবার হুগলির জেলা পরিষদের সদস্যা। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ, এই সময়েই তিনি এসএসসি চাকরি পান। প্রথমে বাঁকুড়ার এক স্কুলে, পরে খানাকুলের রাজহাটি-বন্দর হাইস্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা পরিষদের কাজে ব্যস্ত থাকায় স্কুলে যেতেন না সাহিনা। এছাড়াও, সাহিনার ভাই হলেন খানাকুলের দাপুটে নেতা মইনুল হক। এবার প্রকাশিত তালিকায় নাম এসেছে মইনুল হকের স্ত্রী নমিতা আদকেরও। বিরোধীরা বলছে, অযোগ্য প্রার্থীদের এই তালিকা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতির শিকড় কত গভীর পর্যন্ত পৌঁছেছিল। এদিকে, তাঁর চাকরি যাওয়া সম্পর্কে সাহিনা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই পরীক্ষা ছাড়াও ২০১৬ সালে আপার প্রাইমারিতেও পাশ করেছিলাম। তাহলে পুরোটাই তদন্ত করে দেখা হোক।’ এছাড়াও হুগলি জেলা থেকেই বিভাস মালিক বলে একজনের নামও রয়েছে অযোগ্য তালিকায় বলে জানা গেছে।








